কলকাতা : প্রতিপক্ষ দলে গুরপ্রীত সিং সান্ধু, সাহাল আব্দুল সামাদের মতো তারকা ফুটবলার। খেলতে হবে আইকন সুনীল ছেত্রীর বিরুদ্ধে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে নামার আগে উত্তেজনায় ফুটছেন বাংলা দলের দিলীপ ওঁরাও, মহীতোষ রায়েদের মতো তরুণ তুর্কিরা।
সন্তোষ ট্রফিতে রানার্স বাংলা দলের অন্যতম পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন দমদম নাগেরবাজারের দিলীপ। প্রথমবার নিজের আইডল সুনীলের মুখোমুখি হবেন ভেবেই উত্তেজিত তিনি। বৃহস্পতিবার মোহনবাগানে সংবর্ধনা নেওয়ার ফাঁকে বললেন, আইএফএ-র তরফে যখন আমাদের বলা হল, ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তখন থেকেই নিজের মধ্যে উত্তেজনা টের পাচ্ছি। ছোটবেলা থেকে আমি সুনীল আর নেইমারের ভক্ত। কাল মাঠে দেখা হবে সুনীল ভাইয়ের সঙ্গে। এটা দারুণ পাওনা। ম্যাচটা জেতার লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠে নামব। জিতে সুনীল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই।
এদিকে, সন্তোষে রানার্স বাংলা দল সহ আইএফএ কর্তাদের নিজেদের ক্লাবতাঁবুতে ছোট্ট সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উৎসাহিত করল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের তরফে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত সহ সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মানস ভট্টাচার্যের মতো ক্লাবের প্রাক্তন তারকাও। আইএফএ-র তরফে হাজির ছিলেন চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ অনির্বাণ দত্ত, বাংলা দলের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে নামার আগে বুধবার ও এদিন মোহনবাগান মাঠে অনুশীলন করেছে বাংলা দল। এদিন সংবর্ধনায় বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ফুটবলারদের উদ্দেশে বলেন, রানার্সকে কেউ মনে রাখে না। তাই পরেরবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য প্রস্তুত হও। পাশাপাশি এক বছর সময় হাতে নিয়ে কোচের পরামর্শ মতো ফুটবলার বাছাই শুরু করার অনুরোধও তিনি রাখেন আইএফএ সচিবের সামনে। পাশাপাশি ক্লাবের নবনির্মিত জিমন্যাশিয়াম বাংলা দলের ফুটবলারদের ব্যবহারের অনুমতি দেন বাগান সচিব।
অনুষ্ঠানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তিনি। দেবাশিস দত্তের কটাক্ষ, শুনলাম কোনও এক ক্লাবের (পড়ুন ইস্টবেঙ্গল) কর্তা বলেছেন, বাংলা দলের ফুটবলারদের জন্য ক্লাবের দরজা সবসময় খোলা। আমি ফুটবলারদের উলটো কথাই বলব। নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে বড় দলের জার্সি গায়ে চাপাও। ক্লাবের কাছে যেন তোমাদের যেতে না হয়। ক্লাবকর্তারা যেন চুক্তির জন্য তোমাদের কাছে আসেন।