শক্তিপ্রসাদ জোয়ারদার, কিশনগঞ্জ: অভাবের তাড়নায় ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে এক প্রৌঢ়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল কিশোরী কন্যার। খবর পেয়ে সেই বিয়ে রুখে দিল পুলিশ। বিহারের আরারিয়া জেলার রানীগঞ্জ থানা এলাকার হাসা গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারে চূড়ান্ত অভাব থাকায় ১২ হাজার টাকায় নিজের মেয়েকে জীবন মণ্ডল নামে এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয় নাবালিকার মা। ওই দালাল বুধবার রাতে বেতিয়া জেলার শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা রামবাবু যাদব নামে এক প্রৌঢ়ের সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। নাবালিকার বাবা বিষয়টি রানীগঞ্জ(Raniganj) থানায় জানালে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রামবাবু যাদব ও অভিযুক্ত দালাল জীবন মণ্ডলকে বিয়ের আসর থেকে গ্রেপ্তার করে।
নাবালিকার বাবা জানান, মেয়ের সময়মতো বিয়ে দিতে পারছিলেন না তাঁরা। হঠাৎ পাশের গ্রামের জীবন মণ্ডল এই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। কিন্তু বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চাননি তিনি। কিন্তু ওই দালাল টাকার লোভ দেখালে তার কাছে মেয়েকে তুলে দেন তাঁর স্ত্রী। আরারিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পুস্কর কুমার জানান, ওই এলাকার বাসিন্দারা দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন। সেইজন্য মেয়ের বিয়ে দিতে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। আর এই সুযোগে স্থানীয় ও ভিন রাজ্যের নারী পাচার চক্র ওই এলাকায় সক্রিয়। পুলিশ সবসময় এই ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান ও জন সচেতনতা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ‘নির্বাচন এলেই শ্রমিকদের নিয়ে মায়াকান্না শুরু করে বিজেপি’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ মলয়ের