গৌতম সরকার, চ্যাংরাবান্ধা: কেন্দ্রীয় শুল্ক দপ্তরের তরফে সীমান্ত খুলে রাখা হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য করার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না ভারত ও বাংলাদেশ অর্থাৎ উভয় দেশের ব্যবসায়ীরাই। যে কারণে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে বুধবারও বৈদেশিক বাণিজ্য চালু হল না। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং পণ্য পাঠানো শুরু হতে পারে সে বিষয়টিও অবশ্য এখনও অবধি স্পষ্ট করতে পারেননি দুই পারের ব্যবসায়ীরা।
তাঁদের বক্তব্য, করোনা নিয়ে যা অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে নিজেদের ঘরবন্দি রাখাই শ্রেষ্ঠ উপায়। এই অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতের বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তাই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য করার কোনও ঝুঁকি নেওয়ার সাহস তাঁরা দেখাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও এদিন এখানে ণিজ্য চালু হয়নি।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির জেরে গত ১২ দিন ধরে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ও ভুটান-বাংলাদেশের মধ্যে কোনওরকম বৈদেশিক বাণিজ্য করছেন না ব্যাবসায়ীরা। বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে গত ৩১ মার্চ অবধি এই বাণিজ্য বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ফের আলোচনায় বসেন। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, কেউ বাণিজ্য করলে করতেই পারেন। তবে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করবে কিনা সেটার উপরেও অনেকটা নির্ভর করছে। এখনও অবধি ওপার থেকে কেউ যেমন পণ্য পাঠানোর অনুরোধ করেননি তেমনি ভারত থেকেও বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি করতে এগিয়ে আসেননি। যে কারণে বৈদেশিক বাণিজ্য চালু হয়নি।
এই বিষয়ে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি ভরতপ্রসাদ গুপ্তা জানান, ‘এটা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। তাই বাণিজ্য করার বিষয়টি দুই দেশের উপরই নির্ভর করে। তার ওপর করোনা নিয়ে বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে এখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।’ চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমলকুমার ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘আমরা সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্ত মেনে চলছি। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েই বাণিজ্য করা থেকে বিরত রয়েছি।’