হেমতাবাদ: ভালোবেসে ষোলো বছরের কিশোরকে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছিল ১৭-র কিশোরী। পুলিশ তুলে নিয়ে যেতেই থানার বাথরুমে ঝুলতে দেখা গেল তাঁকে। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হেমতাবাদ (Hemtabad) থানায়। মৃতার বাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার মাধবপুর সংলগ্ন কাশিডাঙ্গা এলাকায়। বাঙালবাড়ি হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণিতে পড়ত সে। ঘটনার জেরে কিশোরীর প্রেমিক ১৬ বছরের এক কিশোরকে আটক করেছে হেমতাবাদ থানা। তার বাড়ি বেলতোর গ্রামে। সে সমষপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে কিশোরের দুবছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের দাবিতে এদিন ওই কিশোরী বেলতোর গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে সেখানে যায় হেমতাবাদ থানার পুলিশ। কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে রাখা হয় মহিলা কয়েদি রুমে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার ও একজন লেডি কনস্টেবল। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাথরুমে যায় ওই কিশোরী। বাথরুমের মধ্যেই গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। আচমকাই একটি শব্দ পেয়ে তড়িঘড়ি বাথরুমে ঢুকে পুলিশ কর্মীরা দেখেন, কিশোরী গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। পুলিশের তরফে কিশোরীকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। রায়গঞ্জ মেডিকেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতার বাবা বলেন, ‘আমার পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তবে যার জন্য আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তাকে ছেড়ে কথা বলব না।’ পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতারের কথায়, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: Raiganj | বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরোধিতা করে অধিবেশন রায়গঞ্জে