রাজগঞ্জ: নিজের এলাকায় ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হল ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে। সোমবার তিনি ফুলবাড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যান। সেখানে তাঁকে কালো পতাকা সহকারে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। স্থানীয় মানুষের ভোটে জিতলেও বিধায়ককে এলাকায় দেখা যায় না এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে না বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন শিখাদেবী।
গত বিধানসভা নির্বাচনে গৌতম দেবকে প্রায় ২৭ হাজার ভোটে পরাজিত করেন বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু গৌতম দেব হেরে গেলেও দলের তরফে তাঁকে দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র করা হয়েছে। তবে তাঁকে এখনও জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের শিলান্যাস ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। সোমবার বিজেপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে সেবা সপ্তাহ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে নিজের বিধানসভা এলাকার ফুলবাড়ি বাজারে সাফাই অভিযান করতে যান বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। কিছু কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সাফাই অভিযান করেন তিনি। সেই সময় একদল মহিলা কালো পতাকা হাতে নিয়ে বিধায়ককে গো-ব্যাক স্লোগান দেন। অধিকাংশই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক হলেও নিজেদেরকে সাধারণ ভোটার হিসেবে দাবি করেন। তাঁদের মধ্যে কণিকা রায়, হিরামনি রায়, বাবলি রায় তৃণমূলের মহিলা কমিটির সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়ককে এলাকায় দেখা যায় না। উন্নয়নমূলক কাজ করছেন না। এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। মহানন্দা নদীর বাঁধের সমস্যার জন্য বর্ষাকালে ফুলবাড়ির পশ্চিম ধনতলার বহু বাড়ি প্লাবিত হয়। এরকম অনেক সমস্যার ব্যাপারে বিধায়কের কোনও উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কিন্তু তিনি এসেছেন মশা-মাছি তাড়ানোর জন্য সাফাই অভিযান করতে। তাই তাঁকে গো-ব্যাক বলা হয়।
বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘তৃণমূলের মদতে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। শুধু এখানে নয়, রাজ্যেজুড়ে শাসকদল এভাবে বিজেপির কাজে বাধা দিচ্ছে। তবে ওরা যতই বাধা দিক না কেন আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। আমি বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত যাই এবং বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে খোঁজখবর নিই। কয়েক বছর ধরে শুনছি, শাসকদল ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রকে পুরসভা করবে বলে প্রচার করছে। আদতে ওরা বিষয়টি বিধানসভায় তোলেনি। আমি নিজে বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুনঃ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বৃদ্ধের