ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Assembly Election)। গুজরাট বিধানসভা দখল করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবকটি রাজনৈতিক দল। জাতীয় রাজনীতিতে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা। বর্তমানে দাঙ্গা পরবর্তী গুজরাটে কিন্তু একটা স্পষ্টতই মেরুকরণ হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু অসুবিধা হয়নি।
গেরুয়া শিবিরের কারণ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বরাবরই অন্তত ৯০% হিন্দু ভোট যায় বিজেপির বাক্সে। এবং এই হিন্দু ভোটে কোনভাবেই কেউ চির ধরাতে পারেনি। একটা সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এই হিন্দু ভোটে চির ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু তিনি অসফল হয়েছেন। বরং তাঁকে নিয়ে সেই সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। তবে এবার গুজরাটের পরিস্থিতি অন্য।
কার্যত গুজরাটে ব্যাপকভাবে সরকার বিরোধী হাওয়া উঠেছে। প্রসঙ্গত, মোরবির সেতুভঙ্গ, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, শ্রমিক মজুরি সহ একাধিক ইস্যু গুজরাটে সরকার বিরোধী মনোভাব তৈরি করেছে। এবং যার সুযোগ নিতে সব রকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। যেমন কংগ্রেস আর কোনো রকম ধর্মীয় ইস্যুতে না গিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি তুলে ধরে বিজেপিকে আক্রমণ করে চলেছে। একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে আম আদমি পার্টিও।
তবে কে কিভাবে গুজরাটের মানুষের মনে দাগ কাটতে পেরেছে তা অবশ্য জানা যাবে আগামী ৮ই ডিসেম্বর। কারণ ওই দিন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতে চলেছে। তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন জেতা গেরুয়ার শিবিরের কাছে যে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ সে কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
আরও পড়ুন: Daler Mehndi | গুরুগ্রামে দালের মেহেন্দির ‘অবৈধ’ খামারবাড়ি সিল করল পুলিশ