চালসা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে জঙ্গল খোলার আর্জি জানালেন জিপসি চালকরা। করোনার জেরে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা হয়। ১৫ জুন থেকে ৩ মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যায় জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশ। টানা ছয় মাস জঙ্গল বন্ধের জন্য যেমন মুখ থুবড়ে পড়েছে ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা তেমনি সংসার নিয়ে ঘোর সমস্যায় পড়েছেন জিপসি মালিক ও চালকরা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
গরুমারা ও চাপরামারী জঙ্গলের নজর মিনার গুলোতে যাওয়ার জন্য জিপসি গাড়িতে করে যেতে হয়। মূর্তি, লাটাগুড়ি ও চালসা এলাকায় প্রায় ৭৯টি জিপসি রয়েছে। এরসঙ্গে রয়েছেন জিপসি চালক। প্রতিবছর বর্ষায় বন্য প্রাণীদের প্রজনন কালের জন্য ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জঙ্গলে প্রবেশ বন্ধ থাকে। কিন্তু এবছর করোনার জেরে মার্চ মাস থেকেই জঙ্গল বন্ধ হয়ে যায়। টানা ছ’মাস বন্ধ জঙ্গল। প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খুলে যায়। কিন্তু এবছর চারদিকে করোনা মহামারী চলছে। ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খোলে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন জিপসি মালিক ও চালকরা। তবে সাস্থ্যবিধি মেনে জঙ্গল খোলা রাখার আবেদন জানিয়েছেন জিপসি চালকরা।
মূর্তি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মজিদুল আলম বলেন, ‘এবছর টানা ছ’মাস জঙ্গল বন্ধ থাকার জন্য জিপসির সঙ্গে যুক্ত প্রায় শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা নিজেদের সংসার চালানো নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। অনেকের গাড়িও খারাপ হয়ে গিয়েছে। মেরামত করার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না। করোনা মহামারী চলছে। ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খোলে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। তবে সরকারি সাস্থ্যবিধি মেনে জঙ্গল খোলা রাখা উচিত। জঙ্গল না খুললে জিপসি সহ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ সমস্যায় পড়বেন।’
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবছর ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খুলে যায়। কিন্তু এবছর ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খুলবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি।