মহুয়া চট্টোপাধ্যায়: নামেই তার পরিচয়, আয়ুর্বেদ নামটা কঠিন হলেও চলতি নামটা সহজ ভৃঙ্গরাজ। প্রাচীন নথিতে একে অঙ্গারক বলে। কারণ অঙ্গের সুন্দরতা এর দ্বারা বৃদ্ধি হয়। এই ভেষজটি তেতো অর্থাৎ কটু এবং কষায় রসধর্মী তাই দ্রব্যগুণেই পিত্ত ও কফের ওপর প্রভাব বিস্তার করে ফলে উপশম হয় দ্রুত। সাদা-লাল ডাঁটা সমেত ভৃঙ্গরাজ বারোমাসই পাওয়া যায়, অসম, চেন্নাই ও বাংলা সহ মালাবার অঞ্চলে একে বেশি পাওয়া যায়। শ্বেতপুষ্প ভৃঙ্গরাজ স্থান ভেদে গুল্ম জাতীয় হয় তখন একে কেশুত বলে যা চুলের বৃদ্ধি ও কালো রং বজায় রাখতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই কি কি কাজে লাগাতে পারি এই ভেষজটিকে—
১) সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই মাথা ধরে যাঁদের বা আধকপালি মাথাব্যথা হয় সেক্ষেত্রে ভৃঙ্গরাজের নস্যি নিলে বা মাথায় রস মাখলে উপশমের গ্যারান্টি।
২) চুল পড়ার জন্য এই পাতার রস দুপুর বেলার মাখতে হয় অথবা রস তেলে পাক করে লাগালেও চুল পড়া কমে।
৩) শিশু ও স্কুলপড়ুয়াদের মাথায় উকুন হলে এই পাতার রস মাখালেই কেল্লাফতে।
৪) পুড়ে গিয়ে শরীরের যেকোনো সাদা দাগে ভৃঙ্গরাজের রস ও কেশুতের রসের সাথে দূর্বা বেটে লাগালে দিনকয়েকের মধ্যেই গায়ের স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।
৫) চোখ ওঠার ক্ষেত্রে পুঁজ পড়তে থাকলে ২০-২৫ ফোঁটা ভৃঙ্গরাজের রস জলে মিশিয়ে চোখ ধুলে পুঁজ পড়া বন্ধ হয়।
৬) কঠিন পায়রিয়ায় পাতা গুঁড়ো করে দাঁত মাজলেই উপকার।
৭) পুরনো আমাশায় যারা ভুগছেন তাঁরা এই পাতার রস ২৫-৩০ ফোঁটা প্রতিদিন আধ কাপ ছাগলের দুধের সঙ্গে কয়েকদিন খেলেই তফাৎ বুঝতে পারবেন ।
৮) রক্তে শ্বেতকণিকা বেড়ে গেলে এবং শোথ জাতীয় অসুখে ২৫-৩০ ফোঁটা ভৃঙ্গরাজের রস দুধের সঙ্গে খেলে দারুণ উপকার পাবেন।
৯) মায়েদের লিউকোরিয়া হয়ে চুল পড়লে ভৃঙ্গরাজ পাতা সেদ্ধ জল দিয়ে দিনে দুবার মাথা ধুলে খুবই উপকার পাবেন।
১০) এছাড়াও কৃমির উপদ্রব ,দাদ, জন্ডিস, নার্ভের রোগে ভৃঙ্গরাজের রস খুবই ফলদায়ক।
মহিলাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৬
চেন্নাই: মহিলাকে অপহরণ করে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল ছয়জনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।...
Read more