বালুরঘাট, ৭ মার্চঃ করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা চরমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি দু’দেশের নাগরিকরাও পাসপোর্ট নিয়ে বৈধভাবে যাতায়াত করেন। ফলে কোনওভাবেই যাতে কোনও সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য সীমান্তে জারি হয়েছে সর্তকতা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি করে আইসোলেশন ওয়ার্ড রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে গত ৫ মার্চ জেলাশাসকের স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকের পর ব্লক পঞ্চায়েত স্তরে শুরু হয়েছে ট্রেনিং ও সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রম। অপরদিকে, হিলি সীমান্তে বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটক ও নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম চলছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। মূলত এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হচ্ছে, কোনও বাংলাদেশি নাগরিক কী অসুস্থ অবস্থায় ভারতে আসছেন বা তাঁর কী কোনও অন্য বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস আছে বিশেষত চীন থেকে এসেছেন কিনা।
জেলাশাসক নিখিল নির্মল, মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় ও এডিএম এল আর প্রণব ঘোষ এদিন হিলি সীমান্তে এই পরিদর্শনে আসেন। স্ক্রিনিংয়ের কাজে যুক্ত বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বিএসএফ কর্মীদের সঠিকভাবে সমস্ত কিছু পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে কিনা, যেমন ওষুধ, গ্লাভস ও হ্যান্ড ওয়াস তারও খোঁজখবর নেন জেলাশাসক।