রায়গঞ্জ: ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটাহারের একটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান শিক্ষক রাজকুমার রায়। পরদিন তাঁর দেহ পাওয়া যায় রায়গঞ্জ শহর থেকে ৩ কিমি দূরে রেললাইনের ধারে। এরপরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ভোটকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ। আন্দোলনে রায়গঞ্জ শহর কয়েক ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। আন্দোলন চলাকালীন রায়গঞ্জের তৎকালীন মহকুমা শাসককে নিগ্রহ করা হয়, এমন অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হন ৩ শিক্ষক। জেল হেপাজত হয় তাঁদের। ছুটে আসেন কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সওয়ালে জামিন পান ৩ শিক্ষক। মামলা চলতে থাকে। অন্যদিকে রাজকুমার রায়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্তদের গ্রেপ্তার ও পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন জারি রাখেন আন্দোলনকারীরা।
রাজকুমার হত্যার বিচার চাই মঞ্চের পক্ষে ভাস্কর ভট্টাচার্য এদিন বলেন, ‘শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চলা মামলা হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে। এক্ষেত্রেও সওয়ালে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।আমাদের নামে যে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছিল, আজ তা প্রমাণিত হল।’ মঞ্চের আরেক সদস্য সুব্রত গুহ জানান, প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায় খুন হওয়ার পরের দিন তাঁর হত্যার বিচার চেয়ে হাজার হাজার ভোটকর্মী ও সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নেমেছিলেন। কিন্তু বেছে বেছে রায়গঞ্জের প্রাক্তন পুরপ্রধান অরূপ ঘোষ সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটি সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ৩ জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘আজ আমাদের মঞ্চের দীর্ঘ আন্দোলনের একটা সুফল পেলাম। ভীষণ খুশি হয়েছি। আগামী দিনে ভোটকর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী রেখে ভোট করানোর দাবিতে আন্দোলন চলবে।