শিলিগুড়ি, ৩১ মার্চ: মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ডুয়ার্স-পাহাড়ে ঘুরে যাওয়া হাওড়ার এক মহিলার করোনায় মৃত্যুতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা সহ ১৬ জনের একটি টিম কলকাতা থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে করে ৭ মার্চ নিউ মাল জংশন স্টেশনে নামে। ওই টিমটি ডুয়ার্স ও কলিম্পংয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘোরে। ১২ মার্চ এনজেপি স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেলে ওই টিমটি কলকাতায় ফিরে যায়।
সম্প্রতি মহিলা অসুস্থ হয়ে হাওড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পরেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মহিলা ডুয়ার্স-কালিম্পং থেকে আক্রান্ত হয়ে যান, না ওদিক থেকে সংক্রমণ নিয়ে এসেছিলেন, না বাড়িতে ফিরেই সংক্রমিত হন এসব প্রশ্নই এখন বিভিন্ন মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, চারটি পরিবার ডুয়ার্স ও কালিম্পংয়ের রিসর্টে ছিল। ডুয়ার্সের রিসর্ট মালিকরাও এনিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। রিসর্ট মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। কোন কোন রিসর্টে ওই মহিলা সহ টিমটি ছিল তারা খোঁজ নিচ্ছে।
লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, ‘বিষয়টি সামনে আসতেই আমি লাটাগুড়ির সমস্ত রিসর্ট মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সম্ভবত ওই টিমটি এখানকার কোনও রিসর্টে ছিল না। তবে মালবাজারে স্টেশনে নামার পর ওই টিমটি কালিম্পংয়ের কোলাখামে যায়। সেখানে একটি হোম স্টে’তে তারা ছিল। ওই টিমে ১৬ জন ছিলেন। ১২ তারিখ কোলাখাম থেকেই এনজেপি স্টেশনে দার্জিলিং মেল ধরার জন্য যান।’
তবে মাঝে তাঁরা ডুয়ার্সেও ঘুরতে এসেছেন বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, ডুয়ার্সে ঘুরতে এলেনও তারা ডুয়ার্সের কোন হোটেলে ছিল তা এখনও জানা যায়নি। এই ব্যাপারে গোরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক পরিমল রাউত আশঙ্কা দূর করে জানান, ওই দলটি গোরুমারার কোনও রিসর্টে ছিল না।
যদিও বিষয়টি জানাজানি হতেই পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি চালক, হোটেল ব্যবসায়ী, ট্যুরিস্ট গাইডদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে। অবশ্য চিকিৎসক মহলের একাংশের ব্যক্তব্য, ডুয়ার্স থেকেই ওই মহিলা সংক্রমিত হয়েছেন এমন কোনও ব্যাপার নেই। ওই মহিলা নিজের শহরে ফেরার পরেও সংক্রমিত হতে পারেন।