রায়গঞ্জ: ওষুধের দোকান করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন স্বামী। সেই টাকা না পাওয়ায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত কাশিবাটি এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার রায়গঞ্জ থানায় হাজির হন মৃতার পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম মামনি বর্মন (২২)। শ্বশুরবাড়ি কর্ণজোড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত কাশিবাটি এলাকায়। বছর দুয়েক আগে মামনি বর্মনের সঙ্গে অভিযুক্ত অমল বর্মনের বিয়ে হয়। অমল পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী। বিয়ের সময় ৩ লক্ষ টাকা, দুই ভরি সোনা এবং এক লক্ষ টাকার আসবাবপত্র দেওয়া হয়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি ওষুধের দোকান করার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে আসার চাপ সৃষ্টি করেছিল। সেই টাকা না নিয়ে আসায় গতকাল রাতে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। তারপর মৃতার দেহ রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
মৃতার বাবা হরি বর্মনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য আমার মেয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করত। মাঝেমধ্যে আমার মেয়েকে মারধর করা হত। গতকাল রাতে জানতে পারি আমার মেয়ে অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে জামাইয়ের বাড়িতে গেলে দেখি কেউ নেই। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে জরুরি বিভাগের সামনে। মৃতার ভাই কৌশিক বর্মনের অভিযোগ, চার মাস ধরে আমার দিদির উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। ওষুধের দোকান করার জন্য টাকা চেয়েছিল। জমি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। যাতে আমার দিদির ওপর আর অত্যাচার না হয়। কিন্তু গতকাল রাতেই বেধড়ক মারধর শুরু করে। তারপর শ্বাসরোধ করে গৃহবধূকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় স্বামী অমল বর্মন সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ পৃথক দুটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার শীতলকুচিতে