নাগরাকাটা: স্ত্রী-র গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে নাগরাকাটার হোপ চা বাগানের সাওনা লাইনে। ইতিমধ্যে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম বিনোদ মাঝি। তিনি পেশায় চা শ্রমিক। মৃতার নাম রেশমা ওরাওঁ(২৫)।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষের সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিতও ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। এসব নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁদের বনিবনা চলছিল না। রেশমা গুজরাটে কোনও বাড়িতে সহায়িকার কাজ করতেন। দীপাবলির দিন তাঁর মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বাগানের বাড়িতে ফেরেন। ওই শ্রমিক মহল্লাতেই রেশমার মা থাকতেন। গতকাল সন্ধ্যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বচসা বাধে। রাগের বশেই বিনোদ স্ত্রীর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে স্ত্রী-কে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ। এরপর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে বাগানের শ্রমিক আবাস থেকে রেশমার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এদিকে বিনোদ ও মৃত রেশমার একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। দুজনেই নাবালক। স্ত্রী বাইরে থাকার সময় ছেলেমেয়ে বিনোদের কাছেই থাকত। বর্তমানে দুই খুদে বাগানেই তাঁদের এক আত্মীয়র বাড়িতে রয়েছে। বাগানের শ্রমিক নেতা অঙ্গদ রাজপুত বলেন, ‘মা নেই। বাবাও এরপর জেল হেপাজতে থাকবে। শিশু দুটির ভবিষ্যত নিয়ে প্রত্যেকেই উদ্বেগে রয়েছে।’ নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার বলেন, ধৃতকে এদিন আদালতে তোলার পর রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।