নয়াদিল্লি: সংসদে তাঁর ভাষণ গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি সুপ্রিমকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতে শনিবার ফের কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন তিনি। মহুয়ার অভিযোগ, তাঁর ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
3 BSF men w/ assault rifles outside my home. Say they are from Barakhamba Road police station for my “protection”. Still outside my home.
Am a free citizen of India – people will protect me.Request Honb’le HM @AmitShah Ji & @HMOIndia to remove immediately pic.twitter.com/7nQLy323Xv
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) February 13, 2021
দিল্লিতে তাঁর বাসভবনের সামনে ৩ বিএসএফ জওয়ানের ছবি পোস্ট করে মহুয়া লিখেছেন, এই তরুণ বিএসএফ জওয়ানদের সীমান্তে পাহারা দেওয়ার কথা। অথচ তাঁদের মোতায়েন করা হয়েছে আমার বাড়ির বাইরে। এর প্রয়োজন নেই। এই পোস্টের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেলকে ট্যাগ করেছেন তিনি। অন্য একটি টুইটে মহুয়া জানান, তিনি কোনও নিরাপত্তার আবেদন করেননি। নিরাপত্তা প্রত্যাহারের জন্য দিল্লি পুলিশকে তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছেন তার একটি প্রতিলিপিও এদিন পোস্ট করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার এবং বারাখাম্বা রোড থানার আধিকারিককে লেখা চিঠিতে মহুয়ার স্পষ্ট বক্তব্য, ’মনে হচ্ছে যেন আমার ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।‘ তিনি লিখেছেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় বারাখাম্বা রোড থানার আধিকারিক আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ওই দিন রাত ১০টা থেকে বাড়ির বাইরে বিএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের হাতে অ্যাসল্ট রাইফেল আছে। ওঁদের দেখে মনে হচ্ছে, যেন আমার গতিবিধির ওপর নজর রাখছেন। আমি ভারতের একজন স্বাধীন নাগরিক। জনগণ আমাকে রক্ষা করবে।‘
Our brave young men sign up for the BSF to guard India’s borders – using them for durwan duty outside my home is a bit silly, isn’t it, @CPDelhi , @MHAIndia pic.twitter.com/LViFEu2HOt
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) February 13, 2021
সম্প্রতি লোকসভায় বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে মহুয়া বলেন, ‘ভারতে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। ভীতুরা নিজেদের সাহসী প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।‘ মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠায় অধ্যক্ষ ওম বিড়লার নির্দেশে বক্তব্যের একাংশ সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন তিনি যেভাবে নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন তাতে কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।