নয়াদিল্লি: সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো শারীরিক সমস্যায় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রেসক্রিপশনে লিখতে হবে সাধারণ ওষুধের নাম। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নতুন গাইডলাইন জারি করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) (ICMR)। নতুন গাইডলাইনে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা কোন ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেবেন, কোথায় দেওয়া যাবে না সবটা উল্লেখ করা হয়েছে।
আইসিএমআরের নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, পাঁচদিন ধরে কেউ যদি ত্বকের কোনও সমস্যায় ভোগেন, তবে তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। নিউমোনিয়াজনিত কোনও রোগের ক্ষেত্রে আটদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পরও রোগী সুস্থ না হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যেতে পারে। আইসিএমআরের তরফে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অনেকের ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। কোনও কোনও রোগে অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার কোনও ক্ষেত্রে অনেকটাই কমেছে সংক্রমণের আশঙ্কা। যেসব ক্ষেত্রে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তার নেপথ্যে রয়েছে স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা অনুযায়ী জীবাণু সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা। আইসিএমআরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার হয়নি বলে অনেকক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা থেকে সতর্ক হয়েই এবার অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহারে রাশ টানল আইসিএমআর।
আরও পড়ুন: Corona Update | দেশে আজ দৈনিক করোনা সংক্রমণ কত? জানুন