রায়গঞ্জ: সাপ ছোবল দিলে ওঝার কাছে নয়, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে, এমনই বার্তা দিল কন্যাশ্রীরা(kanyashree)। গ্রামের অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস, সাপ ছোবল দিলে ওঝার কাছে গেলেই হবে। তারা কেরামতি করে বিষ নামিয়ে দেবে।দীর্ঘদিনের এই বিশ্বাস ভঙ্গ করতে এবার সরব হলেন খোকসা হাই স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যারা। বুধবার তারা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে র্যালি করে। তাদের একটাই বার্তা, ‘সাপের কামড়ে ওঝা বা গুনীন নয়, যেতে হবে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।’
স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের দলনেত্রী সবিতা সিংহ জানায়, স্কুলটির আশেপাশের হাটখোলা সহ গ্রামে সাপের দংশনে বহু মানুষের জীবনহানির ঘটনা ঘটে। অথচ বাসিন্দারা সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে গুণীন বা ওঝার কাছে নিয়ে যেতে বেশী পছন্দ করেন। তাই আমরা খোকসা হাইস্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা দলবদ্ধ ভাবে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে নিয়ে সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করছি।
পশুপ্রেমি সংস্থার সদস্যদের দাবি, সাপের ছোবলের পর আমাদের শরীরে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। যদি কেউটে জাতীয় সাপ ছোবল দেয় তাহলে তার বিষ আমাদের স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। বিষক্রিয়ার মধ্যে আমাদের স্নায়ু অকেজো হতে শুরু করে। আবার কোনও কোনও সাপের ছোবলে রক্তে বিষক্রিয়া ছড়াতে শুরু করে। খোকসা স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেকে।