উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন, আগে জানলে অন্য সিদ্ধান্ত নিতেও পারত তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ আদিবাসীদের প্রতি তাঁর একটা আলাদা সেন্টিমেন্ট আছে। জঙ্গলমহলে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শুধু জয়ের অপেক্ষা এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর। মমতার উদ্যোগেই দেশের ১৭ টি অ-বিজেপি দল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন জানিয়েছে। এমনকী আদিবাসী-দলিতরা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গেই রয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, প্রার্থী নিয়ে বিজেপি যদি আগে জানাত তাহলে ভেবে দেখতেন তিনি। মমতা এও বলেন, এখন যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে দ্রৌপদী মুর্মুর জেতার সম্ভাবনা বেশি।আর মমতার এই মন্তব্যের পরই কড়া জবাব দিল বাম-কংগ্রেস।
এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “দ্রৌপদী মুর্মু প্রার্থী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন। তখন কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারেননি তিনি একজন মহিলা? এখন এসব কথা বলে লাভ নেই। আমি অনেক আগেই সতর্ক করেছিলাম যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি-বিরোধী নন। তাঁর গ্রহনযোগ্যতাও নেই। তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল। আমি আবারও সতর্ক করতে চাই৷ মমতার এদিনের মন্তব্যের কড়াভাষায় সমালোচনা করেছেন সুজন চক্রবর্তী। এদিন তিনি বলেন, “থলে থেকে বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধীতা স্পষ্ট নয়, তা আরও একবার প্রমাণিত। তিনি দ্বিচারিতায় করছেন সহযোগী দল গুলির সাথে। সবদিকেই থাকতে চান তিনি। বিরোধী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নির্বাচনে যিনি নিজেকে সবথেকে বড় বিরোধী হিসেবে দাবি করেছিলেন, এখন দেখা যাচ্ছে তিনিই বিরোধীদের সবথেকে বড় বিরোধী ৷ তিনি কেন্দ্রীয় শাসক দলের কাছে বিরোধীদের ভাঙতে অন্যতম বিরোধিতার ভূমিকা পালন করছেন। আজকের বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির সঙ্গেও আছেন তিনি।
প্রসঙ্গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী ঠিক করার বিষয়ে প্রথম বৈঠকটা ডেকেছিলেন মমতাই। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের সেই বৈঠকে। সেখানে শরদ পাওয়ার এবং ফারুক আবদুল্লার নাম এলেও তাঁরা রাজি না হওয়ায় দ্বিতীয় বৈঠক ডাকতে হয়। সেখানে যশবন্তের নাম চূড়ান্ত করে ১৭টি দল।