তুফানগঞ্জ: টানা দু’বছর স্কুল বন্ধের পর কিছুদিনের জন্য স্কুল খুললেও পুনরায় আবার দেড় মাসের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। স্কুল ছুটি থাকায় স্কুলে আসার প্রয়োজন হয় না পড়ুয়াদের। বিশেষ কাজে শিক্ষকদের স্কুলে আসতে হয়। এই সুযোগে তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের অন্দরান ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯/১৯৪ নম্বর বুথের নয়নেশ্বরী প্রাইমারি স্কুলের মাঠে দিনের বেলা প্রতিদিন চড়ানো হয় গোরু, মাঠে ধান শুকানো হয়, শুকানো হয় জামাকাপড়ও। রাতে কিংবা বৃষ্টি শুরু হলে স্কুলের বারান্দায় রাখা হয় ধান, রান্নার খড়ি। দেখে মনে হবে না এটা একটি স্কুল। এই সব কাজের জন্য মাঠে যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। স্কুল লাগোয়া রয়েছে একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে প্রায় প্রতিদিন গর্ভবতী মা, শিশু সহ অনেকেই আসেন। কিন্তু মাঠে গোরু চড়ানোর জন্য যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। তাই এটা বন্ধ করার দাবি তুলেছেন অনেকেই।
১৯৫৬ সালে নয়নেশ্বরী প্রাইমারি স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আগে দূরদূরান্ত থেকে পড়ুয়ারা পড়াশোনা করতে আসত ওই স্কুলে। বর্তমানে উল্লারঘাট, কুঠিবাড়ি, ভাগাড়ীর পাড় সহ বিভিন্ন এলাকার পড়ুয়ারা পড়তে আসে। আগে প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণির পঠনপাঠন হলেও বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত হয়েছে। এবছর পড়ুয়ার সংখ্যা রয়েছে ৫৩ জন, শিক্ষকের সংখ্যা ৪ জন। পড়াশোনা ও মিড-ডে মিলের মান ভালো হওয়ায় পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার বেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রসূতি বলেন, ‘সরকারি স্কুলের মাঠ অবৈধভাবে ব্যবহার করার ফলে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াত করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠে গরু চড়ানো, শস্য শুকনো বন্ধ করা উচিত। ভয়ে ভয়ে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা মাঠে গোরু চড়ানোর পাশাপাশি শস্য, জ্বালানির জন্য কাঠ শুকোতে দেয়। মূলত বাউন্ডারি ওয়াল না থাকার জন্যই এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা হবে।