নয়াদিল্লি: আড়ি পাততে পেগাসাস কিনেছিল কেন্দ্র। ২০১৭ সালে নরেন্দ্র মোদির ইজরায়েল সফরে এই নিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে মোদির সফরের সময়ই ইজরায়েল থেকে প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা নজরদারি সরঞ্জাম কিনতে ২০০ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা) দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছিল। ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি সেই চুক্তির তালিকায় অন্যতম ছিল ফোনে আড়ি পাতার স্পাইঅয়্যার পেগাসাস। এই পেগাসাস ব্যবহার করেই কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী নেতা-নেত্রীদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে ২০২০ সালে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রায় এক দশক ধরে আড়ি পাতার স্পাইঅয়্যার বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা এবং আইন প্রণয়ণকারী সংস্থাকে বিক্রি করে আসছে ইজারায়েলের এনএসও নামে একটি সংস্থা।
পেগাসাস কাণ্ডে বিরোধীদের মূল প্রশ্ন ছিল, নরেন্দ্র মোদি সরকার কি ইজরায়েল থেকে পেগাসাস স্পাইঅয়্যার কিনেছে? গত বছর কেন্দ্রীয় সরকার পেগাসাস নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিলেও এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ‘জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত’ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। যদিও প্রধান বিচারপতি এনভি রমণার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ গত সেপ্টেম্বেরে সরাসরি কেন্দ্রের যুক্তি খারিজ করে দিয়েছিল। ইজরায়েলি স্পাইঅয়্যার কেনা এবং তার সাহায্যে বিরোধী নেতাদের ওপর নজরদারির অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়ে দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে সেই তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন : মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সিধু