উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখের আকাশে উড়ছে রাফায়েল যুদ্ধবিমান। কিছুদিন আগেই ভারতীয় বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফ্রান্সের ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশেনের তৈরি পাঁচটি রাফায়েল। চিনের পঞ্চম প্রজন্মের স্টেল্থ প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান চেংডু জে ২০-র মোকাবিলায় এই মুহূর্তে লাদাখে প্রস্তুতি সারছে রাফায়েল। সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
২৯ জুলাই ফ্রান্স থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছে প্রথম ব্যাচের পাঁচটি রাফায়েল। সেগুলি আম্বালা এয়ার বেসে রয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা কমার কোনও লক্ষণ নেই। সেকারণে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ভারতও। চিনের যুদ্ধবিমান চেংডু জে ২০-র মোকাবিলায় দ্রুত ফ্রান্স থেকে রাফায়েল নিয়ে এসেছে ভারত। ফ্রান্সের ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশেনের তৈরি এই যুদ্ধবিমানে রয়েছে মেটিওর, হ্যামার ও স্ক্যাল্প মিসাইল।
ভারত ৫৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিনছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এবিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের চুক্তি হয়। দুটি স্কোয়াড্রনে ভাগ করে যুদ্ধবিমানগুলিকে দেশের দুই প্রান্তে রাখা হবে। প্রথম স্কোয়াড্রনের ১৮টি হরিয়ানার আম্বালা এয়ারবেসে থাকবে। তার মধ্যে ৫টি চলে এসেছে। আর দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনের ১৮টি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারাতে থাকবে। একদিকে পাকিস্তান আর অন্যদিকে, চিনের আক্রমণ প্রতিহত করাই এর উদ্দেশ্য।
#WATCH: Indian Air Force Rafale fighter jet operating over a forward airbase in Ladakh near Line of Actual Control with China. (Video Courtesy: Defence Sources)
5 Rafale fighters have been inducted into Indian Air Force & they are familiarising themselves with operational areas. pic.twitter.com/l3KzWLzIyY
— ANI (@ANI) September 21, 2020
১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। পাশাপাশি বেশকিছু চিনা সেনার হতাহতের খবর পাওয়া যায়। যদিও চিন আজও তা স্বীকার করেনি। তবে একজন চিনা কমান্ডিং অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে চিন। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই চিনের গতিবিধির ওপর নজর রেখে পদক্ষেপ করছে ভারত।
বর্তমানে লাদাখের আকাশে ভারতের মিরাজ ২০০০, সুখোই ৩০ এমকেআই, মিগ ২৯ উড়ছে। সীমান্তে নজরদারির জন্য চিনুক কার্গো হেলিকপ্টার, অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টারও নামানো হয়েছে। এছাড়া ভারত ও চিনের তরফে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ট্যাংক, অ্যান্টি এয়ার ক্র্যাফট মিসাইলও মোতায়েন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অপরদিকে চিনের পঞ্চম প্রজন্মের স্টেল্থ প্রযুক্তির চেংডু জে ২০ যুদ্ধবিমানও হুঙ্কার ছাড়ছে। লাদাখের খুব কাছেই চিনের জে-১১, জে ১৬ বিমান উড়ছে। সেগুলির মোকাবিলার জন্যই লাদাখে প্রস্তুতি সারছে রাফায়েল।