নাগরাকাটা: রেল ট্র্যাকের আশপাশে হাতির আনাগোনার আগাম হদিস পেতে ডুয়ার্স রুটের একাংশে বসেছে ইনট্রুসন ডিটেকশন সিস্টেম (আইডিএস)। সোমবার সেন্সর নির্ভর ওই ব্যবস্থাটির ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হল বানারহাট ও ক্যারন স্টেশনের মাঝে রেড ব্যাংক চা বাগানের গা ঘেঁষে চলে যাওয়া রেলপথে। গরুমারা থেকে একটি কুনকি হাতি নিয়ে এসে নয়া প্রযুক্তির ওই ব্যবস্থাটি পরখ করে দেখা হয়। তা সফল হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রথম দফায় বিন্নাগুড়ি স্টেশনকে কেন্দ্র করে আইডিএস চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল। সেখানে ইতিমধ্যেই এজন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বসেও গিয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের(Alipurduar)ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দিলীপ কুমার সিং বলেন, ‘একেকটি স্টেশনকে কেন্দ্র করে আশপাশের অন্তত দু-তিনটি স্টেশন এই ব্যবস্থার আওতায় আসবে। বিন্নাগুড়ির পর পরবর্তীতে গুলমা স্টেশনকে কেন্দ্র করে আইডিএস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।’
এদিন রেড ব্যাংকের ট্রায়াল রানে রেলকর্তাদের পাশাপাশি বন দপ্তরের আধিকারিকরাও ছিলেন। রেল সূত্রেই জানা গিয়েছে, জঙ্গল চেরা রেলপথের দু’ধার দিয়েই অপটিক্যাল ফাইবার পাতা হয়েছে। থাকছে সেন্সরও। রেললাইনের দু-পাশের অন্তত ১০ মিটারের মধ্যে হাতি থাকলে সেন্সরের মাধ্যমে অপটিক্যাল ফাইবার বাহিত বার্তা পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় স্টেশনে। বার্তা পৌঁছোবে রেলের কন্ট্রোল রুমেও। সেখান থেকে ট্রেন চালকদের ওয়াকিটকির মাধ্যমে হাতির অস্তিত্ব নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হবে। সেই মোতাবেক চালকরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, কতগুলি হাতি রয়েছে তারও আন্দাজ এই ব্যবস্থাটির মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে পরিবেশপ্রেমীরা। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটি (ন্যাফ)-র মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, ‘গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বুনোদের অকাল মৃত্যু রোখার প্রয়াস অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য।’ এদিন রেড ব্যাংকের ট্রায়ালে ছিলেন বন দপ্তরের বিন্নাগুড়ির রেঞ্জার শুভাশিস রায়।