ওয়াশিংটন: ইরানি সেনাবাহিনীর অন্যতম শীর্ষকর্তা জেনারেল কাশেম সোলেমানির খুনের প্রতিশোধ নিতে আমেরিকা বা তার মিত্রদের নিশানা করতে পারে ইরান। গত ৩ জানুয়ারি ইরাকে সোলেমানিকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেছিল ইরান। আগামী মাসে সোলেমানি হত্যার একবছর পূর্ণ হবে। জানুয়ারির ৩ তারিখ বা অন্য কোনও দিন ইরান হামলা চালাতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা যেকোনও ধরনের হামলা ঠেকানোর জন্য তৈরি আছি। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সহযোগীদের নিরাপত্তা দিতে মার্কিন সেনা দায়বদ্ধ। প্রয়োজনে হামলাকারী ইরান ও তাদের সঙ্গীদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
কয়েকদিন আগে পাওয়া উপগ্রহচিত্রে ইরানে একটি নির্মীয়মাণ পরমাণু কেন্দ্রের হদিস পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রটি মাটির নীচে খুব গোপনে তৈরি করা হচ্ছে। এর জেরে ইরান-আমেরিকা দ্বন্দ্ব নয়া মাত্রা পেয়েছে। এডেন উপসাগরে অবস্থিত মার্কিন নৌবহরের আয়তন আরও বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এডেন উপসাগর ছাড়াও ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সেনা এবং তার সহযোগীদের নিশানা করতে পারে ইরান। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবাদবিরোধী আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল পল কালভার্ট, ইরাকের সেনাপ্রধান আবদুল আমির ইরারাল্লার সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হয়েছে বলে জানান ম্যাকেঞ্জি।