উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আমির খান করিনা কাপুর অভিনীত ‘লাল সিং চাড্ডা’। আর এই ছবিটি মুক্তি পেতেই বয়কটের ডাক দিয়েছে নেট দুনিয়া। সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু দেশ সংক্রান্ত বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আমির খানের এই ছবিটি বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর ফলেই আমিরের অন্যান্য ছবির চাইতে এই ‘লাল সিং চাড্ডা’র আয় অনেকটাই কম। এই প্রসঙ্গে আমির খানকে ব্যঙ্গ করে অনুপম খের বলেন ‘যখন আমাদের ছবি চলেনা তখন দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয় মোদি ও বিজেপি সমর্থকদের ওপর।’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আমির খান করিনা কাপুর অভিনীত ‘লাল সিং চাড্ডা’। সাম্প্রতিককালে আমির খান এবং করিনা কাপুর খানের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মুক্তির আগেই ছবিটি নিয়ে বয়কটের ডাক দিয়েছে নেট দুনিয়া। কয়েকবছর আগে এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেছিলেন, ভারত ক্রমাগত অসহনশীল হয়ে উঠছে। তখন তৎকালীন স্ত্রী (কিরণ খের) আর ছেলে আজাদ রাও খানকে নিয়ে দেশ ছাড়ার ইচ্ছের কথাও বলেছিলেন। নেট-নাগরিকদের দাবি ‘এতই যখন দেশকে অপছন্দ তাহলে এখানে ছবি কেন রিলিজ করছ’। তাদের অভিযোগ, ভারতীয় সেনার গরিমা নষ্ট করেছেন আমির খান। সারা দেশে ছিছি রব উঠেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে আমির বলেছেন, ‘দয়া করে আমার ছবিখানা বয়কট করবেন না। আমার খারাপ লাগে। আমার এটা ভেবে আরও খারাপ লাগে যে এই ধরনের প্রচার যারা করছে তাঁরা অনেকেই মনে মনে বিশ্বাস করে আমি ভারতবর্ষকে ভালোবাসি না। এটা সত্যি নয়। বরং ভুল, মিথ্যে। দুর্ভাগ্যজনক কিছু মানুষ মনে মনে এমন ভাবে। দয়া করে আমার ছবি বয়কট করবেন না। দয়া করে দেখুন ছবিখানা।’
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অনুপম খের(Anupam Kher)। এক সাক্ষাৎকারে অনুপম খের বলেন, ‘যে অনেক লোক ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল’ এর পক্ষে টুইট করেনি, তবুও বক্স অফিসে সিনেমাটি বিস্ময়কর ভাবে সফল। বয়কটের প্রবণতার কারণে সিনেমা চলে না বলাটা বাজে কথা, দুই-তিন বছর আগে, নির্মাতারা চাইতেন যে তাদের ছবিটি নিয়ে কোনও ধরণের বিতর্ক তৈরি হোক যাতে লোকেরা এটি দেখে। ২০১৫ সালে আমির খান কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন এবং তাঁর পরই ‘দঙ্গল’ সিনেমাটি রিলিজ হয়। সেই সিনেমাটি যথেষ্টই সারা ফেলেছিল দেশে। সেক্ষেত্রে কি তাঁর জনপ্রিয়তা বা সাফল্যকে প্রভাবিত করেছিল? সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। যদি কিছু লোক মনে করে যে তারা একটি নির্দিষ্ট সিনেমা দেখতে চান না তবে এটি তাদের ব্যক্তিগত ব্যপার। যদি একটি ছবি ভাল হয় এবং দর্শকরা সেটি অবশ্যই পছন্দ করেন। যদি মোদীজির সমর্থন যথেষ্ট হত তাহলে নরেন্দ্র মোদির বায়োপিকটিই হত সবচেয়ে বড় সিনেমা। যখন আমাদের ছবি চলে না তখন কেও কেও দোষ চাপিয়ে দেন বিজেপি বা মোদীজির সমর্থকদের ওপর। এটি অত্যন্ত খারাপ দিক’।