নাগরাকাটা: ঝোরা পারাপারে ভরসা বিদ্যুতের খুঁটি। ঘটনাটি নাগরাকাটার মহেন্দ্রধুরার। ওই গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি আরও একটি বাঁশের সাঁকোর দশাও বেহাল। সব মিলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে ভুগতে থাকা এলাকাটিতে ক্ষোভের পারদ ক্রমশ চড়ছে। সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘাসমারি বস্তির মহেন্দ্রধুরার একপাশে কাঠালধুরা এলাকা। স্কুল, র্যাশন দোকান থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে মহেন্দ্রধুরার বাসিন্দাদের প্রথমে ঝোরার ওপর পেতে রাখা বিদ্যুতের খুঁটি ও পরে ভাঙা সাঁকো টপকে সেখানে যেতে হয়। কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই যাতায়াত। অভিযোগ সমস্যাটি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনও হেলদোল নেই কারও। এমনকি সেখানে দুর্ঘটনাও আকছার লেগেই থাকে। বেহাল সাঁকোটি অবস্থিত বালুখোলা নামে একটি নদীর ওপর। ফি বর্ষায় নদী এবং ঝোরা দুই-ই ভয়ংকর হয়ে ওঠে। সেসময় কার্যত গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয় মহেন্দ্রধূরাকে। বন্ধ হয়ে যায় পড়ুয়াদের স্কুলে যাতায়াত। গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি বা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারেন না সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। নাগরাকাটার বিডিও বিপুল কুমার মণ্ডল জানান, সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : পিকনিকে নৌকাবিহার করতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু দুই পড়ুয়ার