তুফানগঞ্জ: তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের অন্দরান ফুলবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উল্লারঘাট এলাকায় রায়ডাক নদীতে যাতায়াতের জন্য ফের বাঁশের সাঁকো চালু হওয়ায় খুশি কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী।
গত ২৫ জুন বাঁশের সাঁকো জলের স্রোতে ভেঙে যাওয়ার পর এতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা নৌকোয় পারাপার করছিলেন। চার মাস পর নদীর জলস্তর কমে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিলেন ঘাটের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এখানে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় ৮ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬১ হাজার টাকায় সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল। সময়সীমা ১৮ মাস ৫ দিন বেঁধে দিলেও সেই সময়সীমা পেরিয়ে যায় অনেক আগেই। তাই সেতুর কাজ হতে বিলম্ব হওয়ায় আপাতত যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো করে দেওয়া হয়েছে।
কারণ, নৌকোয় পারাপার হতে একদিকে যেমন জীবনের ঝুঁকি থাকে, অন্যদিকে সময় অনেক বেশি লাগে। তাই সকলের কথা ভেবেই ঘাট কর্তৃপক্ষ বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা করেছে।
এদিকে ঘাট পরিচালনার জন্য ১৫ জনের কমিটি গঠিত হয়েছে। ঘাটের পারাপারের লভ্যাংশ সকলেই সমপরিমাণে পেয়ে থাকেন। এই কমিটির এক সদস্য অভিরাম দাস বলেন, এ বছর বাঁশের সাঁকো তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছে ৬৯ হাজার টাকা। গত বৃহস্পতিবার বাঁশের সাঁকোর কাজ শুরু হয়। দু’দিনে প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ সাঁকো তৈরি করার কাজ শেষ হয়। তারপর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলেও সোমবার থেকে পুরোপুরি যাতায়াত শুরু হয়।
প্রতিদিন গড়ে ৮০০-৯০০ যাত্রী পারাপার করে থাকে। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই ভাড়া নেওয়া হয়। পাকা সেতু চালু হওয়ার আগে পর্যন্ত এভাবেই যাতায়াত করবে জনগণ। বক্সিরহাট, হরিরহাট, গঙ্গাবাড়ি, বাঁশরাজা, ধলডাবরি, ভানুকুমারী ইত্যাদি জায়গায় খুব সহজেই কম সময়ে উল্লারঘাট রায়ডাক নদী পেরিয়ে যাতায়াত করা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা অজয় বর্মণ বলেন, পাকা সেতুর কাজের সময় সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। তাই নৌকো ও বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা যাতায়াতের জন্য। পাকা সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শরবিন্দু রায় বলেন, সেতুর পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।