কলকাতা: চার বছরের জন্য জাতীয় শুটিং দলের কোচ হলেন জয়দীপ কর্মকার। শনিবার তাঁর নাম ঘোষণা করেছে ফেডারেশন। রাইফেল শুটারদের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
এদিন একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়দীপ বলেন, ‘দীর্ঘদিন কোনও প্রতিযোগিতায় লড়াই করিনি। তবুও মনের মধ্যে ক্ষীণ আশা ছিল, আবার হয়তো শুটার হিসেবে রাইফেল হাতে নেব। কিন্তু আজ সরকারিভাবে আমার খেলোয়াড় জীবনের সমাপ্তি হল। কাল থেকে আমার কোচিং কেরিয়ারের সূচনা।’ মে মাসের শেষে আজারবাইজানের বাকুতে বিশ্বকাপ। রবিবার থেকে দিল্লিতে শুটিংয়ের জাতীয় শিবিরে তারই প্রস্তুতি শুরু করবেন জয়দীপ। বাংলার তিন শুটার- মেহুলি ঘোষ, আয়ুষী পোদ্দার এবং অভিনব সাউ শিবিরে ডাক পেয়েছেন।
কোচ হিসেবে শুটারদের মানসিক জোর বাড়ানোর ওপর নজর দিতে চাইছেন জয়দীপ। তাঁর কথায়, ‘গত কয়েক বছরে ভারতীয় শুটাররা বিশ্বকাপ সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় ভালো পারফর্ম করেছেন। তবে টোকিও অলিম্পিকে একজনও পদকের কাছাকাছি যাননি। আমার মনে হয়, সমস্যাটা মানসিক। শুটাররা বড় মঞ্চে খেলার চাপ নিতে পারছে না। ওরা ভালো শুটার, সেজন্যই জাতীয় শিবিরে এসেছে। ফলে ওদের টেকনিক্যালি বেশি কিছু সেখানোর নেই। তাই ওদের মানসিক দিকে নজর দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’ বিষয়টি নিয়ে ফেডারেশনকে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন লন্ডন অলিম্পিকে চতুর্থ হওয়া বাঙালি শুটার।
পরপর দুটি কমনওয়েলথ গেমস থেকে শুটিং বাদ দেওয়া নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নতুন জাতীয় কোচ। বললেন, ‘গেমসে ভারতে পদকের একটা বড় অংশই আসে শুটিং, কুস্তির মতো খেলা থেকে। ক্ষমতাশালী দেশগুলি সেখানে ভালো ফল করতে পারে না। ছোটবেলায় খেলার মাঠে আমরা দেখেছি, যার ব্যাট সে সব সিদ্ধান্ত নেয়। এখানেও ব্যপারটা তাই।’ এখন থেকেই প্যারিস অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : আড়াই বছরের সাজা, আর্থিক প্রতারণা মামলায় দোষী সাব্যস্ত বরিস বেকার