হিলি: কোভিড পরিস্থিতির জন্য দু’বছর পর ফের সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হিলির পশ্চিম আপ্তৈড় গ্রামের চোদ্দোহাত কালীপুজো। বুধবার রাতে অমাবস্যা তিথিতে পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজো উপলক্ষ্যে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা। আন্তর্জাতিক সীমান্তে মেলার আয়োজন হতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে পুলিশ ও বিএসএফ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশ সংলগ্ন পশ্চিম আপ্তৈড় গ্রামের বাসিন্দারা যুদ্ধ বন্ধ ও এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কালীপুজা (Kali Puja) করেন। কিন্তু যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর বিশেষ কারণে সেই পুজো কিছুদিন স্থগিত থাকে। যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের ওই গ্রামে একটি জায়গায় সমাধিস্থ করা হয় বলে দাবি অনেকের। যুদ্ধের আবহ মিটতেই ১৯৮১ সাল থেকে শুরু হয় চোদ্দোহাত কালীপুজো। ৪২তম বর্ষে পড়ল এবারের পুজো। পাশাপাশি সাতদিন ব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, গাজোল, গঙ্গারামপুর, পতিরাম, বালুরঘাট থেকে নাগরদোলা, টয় ট্রেন, খাবারের স্টল, শৌখিন সামগ্রী, পোশাক সহ কাঠের আসবাসপত্রের দোকান বসেছে। দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা পুজোয় অংশ নিতে দুপুর থেকেই ভিড় করতে শুরু করেছেন। পুজো কমিটির সম্পাদক মিহির সরকার জানান, দুই বছর বাদে সাড়ম্বরে পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাবস্যা তিথিতে বৈষ্ণব মতে পুজো হবে। সাতদিনের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশ, বিএসএফের তরফে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে মেলা পরিচালনা করতে প্রশাসনের সঙ্গে তাঁরাও প্রস্তুত রয়েছেন।
আরও পড়ুন : চা বিক্রেতার মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করলেন স্বেচ্ছাসেবীরা