নাগরাকাটা: করম বিসর্জনকে কেন্দ্র করে রঙিন হয়ে উঠল ডুয়ার্স। সোমবার রাতভর পুজোর পর মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন নদীঘাটে বিসর্জন পর্ব শুরু হয়। তবে সবচেয়ে বড় আসরটি বসে নাগরাকাটার জলঢাকায়। অজস্র মানুষ সেখানে ভিড় জমান। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক। তিনি বলেন, ‘করম আদিবাসীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। হাজারো মানুষের উন্মাদনার সাক্ষী থাকতে এদিন জলঢাকায় এসেছি।’
এদিন ওদলাবাড়িতে ঘিস নদীর ঘাটেও বিসর্জন হয়। সেখানে আশপাশের লিশ রিভার, বাগ্রাকোট, ওদলাবাড়ি, মানাবাড়ি, সোনালীর মতো একাধিক চা বাগানের পুজোর বিসর্জন করা হয়। সেখানেও মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক উপস্থিত ছিলেন। মালবাজারের মালনদী, শুখা ঝোড়ায় বিসর্জন চলে। মাল শহরের বিডিও অফিস লাগোয়া মাঠে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। গয়েরকাটা চা বাগান আয়োজিত করম পুজোর বিসর্জন হয় ডায়না নদীতে। আম্বাডিপা আদিবাসী ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের করম পুজোয় মাদলের তালে নাচতে দেখা যায় মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে। বানারহাটের চামুর্চি ও সংলগ্ন এলাকার করম ব্রতীরা বিসর্জনের অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন ভারত-ভুটান দু’দেশের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া ৩ পাহাড়ি নদীর সঙ্গমস্থলে। চামুর্চি ও চুনাভাটি চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় রেতি, সুকৃতি ও খানাভর্তি এই ৩ নদীর মিলনস্থলে নিজেদের পরম্পরাগত বেশভূষায় সেজে আসা আদিবাসী সমাজ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।