খড়িবাড়ি: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সরিয়ে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ক্লাবঘর! ফলে গত দেড় মাস ধরে খোলা আকাশের নীচেই ঠাঁই হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। খড়িবাড়ি ব্লকের ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কির এই ঘটনাকে ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। পানিট্যাঙ্কিতে যেখানে চা বাগানের জমি দখল করে বড় বড় মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে, সেই এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জায়গাই পাওয়া যাচ্ছে না। এমনই অভিযোগ উঠতে শুরু হয়েছে।
খড়িবাড়ি ব্লকের রানিগঞ্জ পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৮ নম্বর গৌরশিং জোত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এমন দশা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ২০০৭ সালে স্থাপিত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কোনও স্থায়ী ঘর নেই। দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নীচেই চলছিল কেন্দ্রটি। চার বছর আগে পানিট্যাঙ্কি কালীমন্দিরের সামনে বাতারিয়া নদীর পাশে একটি টিনের ঘর বানিয়ে শিক্ষিকারা কেন্দ্রটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। জায়গাটির কিছুটা অংশ ছিল শিলিগুড়ি পূর্ত দপ্তরের অধীনে এবং বাকিটা বাতারিয়া নদীর চর।
অভিযোগ উঠেছে, দেড় মাস আগে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় কিছু যুবক মিলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি সেখান থেকে সরিয়ে দেন। মন্দির এবং ক্লাবের জায়গা দখল হচ্ছে বলে স্থানীয় কিছু যুবক মিলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষিকাদের হুমকি দিয়ে তাঁদের জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এখন দেড় মাস ধরে রাস্তার পাশে একটি অস্থায়ী ঘরেই চলছে কেন্দ্রের কাজকর্ম। বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির অবস্থা বেহাল। সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা ৫৬ জন। এত সংখ্যক পড়ুয়াদের জন্য নেই পর্যাপ্ত জায়গাও বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের সহায়িকা আল্পনা রায় সিংহ। তিনি জানান, গোটা বিষয়টি উপর মহলে জানানো হয়েছে।
খড়িবাড়ি ব্লকের সিডিপিও দাওয়া শেরপা বলেন, ‘কেন্দ্রটি যেখানে রয়েছে সেই জায়গা নিয়ে বিতর্ক থাকায় আমরা ঘর বানাতে পারিনি। তাই মন্দিরের পাশে বাগানের জায়গায় একটি স্কুলঘর তৈরির করা হবে। সেজন্য চা বাগনের মালিককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’