বীরপাড়া: কমলালেবু তো নয়, যেন ডুমুরের ফুল। ডুয়ার্সে মিলছে না স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় দার্জিলিংয়ের কমলালেবু। দার্জিলিং তো দূরের কথা, চড়া দামের কারণে ভুটানের প্রথম শ্রেণির কমলালেবুতেই হাত দিতে পারছেন না নিম্নমধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে নাগপুর কিংবা অসমের কমলালেবুতেই রসনা তৃপ্ত করতে হচ্ছে তাদের। বাজারে খোঁজখবর নিয়ে জানা গিয়েছে, গোয়ালিয়রের কমলালেবু কেজি প্রতি গড়পড়তা ১০০ টাকা, নাগপুর ও অসমের কমলালেবু ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিকোচ্ছে। ভুটানের ভালো কমলালেবু ১ কেজি কিনতে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দাম দিতে হচ্ছে।
এই ফাঁকে কমলালেবুর জায়গা নিয়েছে কিনো। কিনোর দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকা বা তারও কম। কিনো দেখতে কমলালেবুর মতো। তবে কমলালেবুর চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল কিনোর খোসা। এছাড়া, কিনোর খোসা কমলালেবুর খোসার চেয়ে অনেক বেশি মোটা। কিনোর কোয়াগুলি একটি অপরটির সঙ্গে দৃঢ়ভাবে লেগে থাকে। ছাড়াতে গেলে ছিঁড়ে যায়। বাইরে থেকে তেমনভাবে ফারাক বোঝা যায় না। তাই কেউ কেউ কিনোকেই কমলালেবু ভেবে কিনছেন। অবশ্য ফল বিক্রেতাদের অনেকেরই বক্তব্য, মানুষ এখন অনেক চালাক। কিনোর দাম কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ কিনো কিনছেন। ঠকানোর প্রশ্নই ওঠে না।
অথচ এক সময় শীতকালে ডুয়ার্সে অঢেল মিলত দার্জিলিংয়ের কমলালেবু। কিন্তু জোগান কমতে কমতে ডুয়ার্সের অনেক জায়গায় এখন দার্জিলিংয়ের কমলালেবু আসাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফল ব্যবসায়ীরা জানান, দার্জিলিংয়ের বেশিরভাগ কমলালেবু চড়া দামে রপ্তানি করা হচ্ছে কলকাতা সহ ভিনরাজ্যে। এছাড়া একটা বড় অংশ রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে। স্বাভাবিকভাবেই, দার্জিলিংয়ের কমলালেবু ডুয়ার্সে মিলছে না।