শিলিগুড়ি : সময়ে সঙ্গে বদলেছে সরকারি বাসের পরিকাঠামো। সাধারণ সব বাসই বদলে গিয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির বাসে। তবে বাসের তুলনায় কর্মীর সংখ্যা কম। আধুনিক বাস দেখাশোনা করার মতো প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যাটা আরও কম থাকা ভাবাচ্ছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমকে। রাস্তায় বাস খারাপ হলে আগের মতো ড্রাইভারদেরও আপৎকালীন প্রয়োজনে গন্তব্যে পেঁছোনোর মতো বাস মেরামত করার ক্ষমতা না থাকায় অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে এজেন্সির মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী নেওয়া হলেও এখন লকডাউন পরিস্থিতিতে সেই সংখ্যাটাও কম রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি কাজে কিছু বাস ব্যবহার হচ্ছে। রাস্তায় কোনওটি খারাপ হলে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মীদের একাংশ।
বাসচালকদের একাংশের কথায়, আগে বাস খারাপ হলে আমরাই ঠিক করে গন্তব্যে চলে যেতে পারতাম। এখন বাসে ইলেক্ট্রিক লাইন থাকায় কোন তারে কী হবে সেটা বুঝতে পারি না। এমন পরিস্থিতিতে অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। নর্থবেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সম্পাদক তুফান ভট্টাচার্য বলেন, বিভিন্ন জায়গায় যে ডিপো তৈরি করা হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্যই সংলগ্ন এলাকায় কোনও বাস খারাপ হলে সেটা ঠিক করা কিংবা পরিবর্তন করে নেওয়া। কিন্তু এখন সেই কাঠামোটাই ভেঙে গিয়েছে। ডিপোয় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী থাকা যে কতটা জরুরি সেটা বর্তমান পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে। আইএনটিইউসির সম্পাদক প্রবীর বোস বলেন, প্রতিটি বাসেই একজন মেকানিক, কনডাক্টর, চালক থাকা প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি, সমস্যার সমাধান হবে।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ ড্রাইভারস অ্যান্ড তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দিলীপকুমার বিশ্বাস বলেন, সমস্যা তো একটা রয়েছেই। আধুনিক বাস পরিচালনার মতো নিগমের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী থাকাটা সব সময়ে জরুরি। লকডাউনের পরে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা রাখছি। এনবিএসটিসির ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপঙ্কর দত্ত বলেন, এজেন্সিগুলো আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তবে এখন অসুবিধা সবেতেই হচ্ছে। নতুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী নিয়োগ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এ নিয়ে আলোচনা হবে।