ফালাকাটা: মাথায় বৃষ্টি নিয়েই লাইনে দাঁড়িয়েছেন সুশীলা দাস। আবার বাচ্চা কোলে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন সাবিত্রি রায়। কারও হাতে ছাতা তো কারও হাতে টর্চলাইট। এভাবেই মঙ্গলবার রাত জাগবেন তারা। উদ্দেশ্য সবার একটাই আধারকার্ড তৈরি করা। মঙ্গলবার রাত যখন ৯ টা ৩০ মিনিট ততক্ষণে আধারকার্ড বানানোর জন্য ফালাকাটা পোস্ট অফিসের সামনে লম্বা লাইন। মহিলা থেকে, পুরুষ সবাই পোস্ট অফিসের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। এদিন রাত যত গড়িয়েছে ততই আধারকার্ড বানানোর লাইন দীর্ঘ হয়েছে। যদিও এদিন লাইনে দাঁড়ানো মানুষের জন্য প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা ছিল না বলেই অভিযোগ।
জানাগেছে, বুধবার ফালাকাটা পোস্ট অফিসে নতুন আধারকার্ড তৈরির জন্য ফর্ম বিলি করা হবে। এর জন্য পোস্ট অফিসের দেওয়ালে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০ টা থেকে ২ হাজার ফর্ম বিলি করা হবে। ওই বিজ্ঞপ্তি দেখেই মঙ্গলবার রাত থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিন ফালাকাটা পোস্ট অফিসের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে খোকন সূত্রধর বলেন, ‘আমার বাড়ি শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। আমার ছোটো ছেলের আধারকার্ড করা হয়নি। বুধবার পোস্ট অফিসে আধারকার্ড বানাবে শুনেই লাইনে দাঁড়াই। বুধবার সকালে ভিড় হবে বলেই মঙ্গলবার রাতেই লাইনে দাঁড়িয়েছি।’ এদিন পলাশবাড়ি থেকে আধারকার্ডের ফর্ম নিতে লাইনে দাঁড়ান সুশীলা দাস। তিনি বলেন, ‘নাতনির আধারকার্ড বানাবো। কিন্তু বুধবার প্রচন্ড ভিড় হবে তার উপর ফর্ম নাও পেতে পারি। তাই এদিন ছাতা নিয়ে রাত জেগে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবো।’
এর আগেও আধারকার্ড বানানোর জন্য ফালাকাটা পোস্ট অফিসে লম্বা লাইন হয়েছে। কয়েকশো মানুষ রাতে জেগে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শীতের রাতেও ওই সময় মশারি, কম্বল নিয়ে পোস্ট অফিসের সামনেই রাত জাগেন তাঁরা। এবার বৃষ্টির রাতে ফের পোস্ট অফিসের সামনে লাইন দিয়েছেন বাসিন্দারা। ফালাকাটা ব্লকের পাশাপাশি অন্য এলাকার বাসিন্দারাও লাইন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও গোটা বিষয়ে প্রশাসনের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মদের ঠেকে পুলিশের হানা, আটক তিন