রায়গঞ্জ: উত্তরবঙ্গ সংবাদ-এর খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল বনবিভাগ। রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া কান্তনগর এলাকায় কুলিক নদী সংলগ্ন জঙ্গল থেকে দিনদুপুরে দামি শাল, সেগুন গাছগুলি যাতে বন মাফিয়ারা কেটে না নিতে পারে তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হল স্থানীয় কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ সরকারকে। শুক্রবার বন বিভাগের আধিকারিক ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে কাউন্সিলারের হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে কুলিক বাঁধ লাগোয়া জঙ্গল থেকে গাছ কেটে নিচ্ছিল মাফিয়ারা। প্রায় ৪৩ বিঘা জমির উপর এই জঙ্গলে শাল, সেগুন, অর্জুন, কদম, ইউক্যালিপটাস সহ অন্যান্য গাছ রয়েছে। এই গাছগুলি বিলুপ্তির পথে। নদীপথে নৌকায় বা ভ্যানে চাপিয়ে গাছের বড় বড় লগ নিয়ে যাচ্ছে মাফিয়ারা। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের নজরে আসতেই তা প্রকাশ্যে আসে। স্থানীয় কাউন্সিলার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বন মাফিয়ারা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের কিছু করার নেই। যদিও বিষয়টি বন দপ্তরকে জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ-এ খবর প্রকাশিত হতেই গতকাল বন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে। সেই বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয় স্থানীয় কাউন্সিলারকে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আগামী অর্থবর্ষে গোটা বনভূমি কাটা তার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। সেটি পিকনিক স্পট হিসাবে গড়ে তোলা হবে। সেইসঙ্গে একটি কমিটি তৈরি করে বন রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলারকে। প্রসেনজিৎ জানান, জমির মালিকের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আপাতত দেখাশোনার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে জানান, বনভূমি দেখাশোনার দায়িত্ব আপাতত স্থানীয় কাউন্সিলারকে দেওয়া হয়েছে। তিনি স্থানীয় মানুষদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে বনকে রক্ষা করবেন।