চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার : ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে কোচবিহার জেলার একমাত্র শিল্পতালুক চকচকা শিল্প বিকাশ কেন্দ্র। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনকারী ইউনিটগুলি খোলা রয়েছে। শিল্পকেন্দ্র বন্ধ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। শিল্পপতিরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সমস্ত ইউনিট চালু হবে না বলে জানা গিয়েছে।
কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত পোদ্দার জানান, চাল, তেল, ময়দা, বিস্কুট উৎপাদনকারী কয়েকটি ইউনিট খোলা রয়েছে। তবে জুট মিল প্লাস্টিক মিল অন্যান্য ফুড প্রসেসিং ইউনিটগুলি, অ্যালুমিনিয়াম ইউনিটগুলি বন্ধ আছে। মাত্র ১০ শতাংশ শ্রমিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ইউনিটগুলিতে কাজ করছেন। প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বসে রয়েছে। তারা যেমন সমস্যায় পড়েছেন। পাশাপাশি সমস্ত ধরনের পণ্য উৎপাদন রপ্তানি বন্ধ থাকায় দিনে দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ কুমার বণিক ও সহ-সভাপতি সুন্দরলাল চোপড়া জানিয়েছেন, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে শিল্প বিকাশ কেন্দ্র। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। শ্রমিকরাও কী করবেন বুঝতে পারছে না। জুটমিল বন্ধ থাকায় বহু সংখ্যক শ্রমিক কাজ হারিয়ে বসে আছেন। তারাও ইউনিটগুলি খোলার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
উল্লেখ্য, বাম আমলে নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় কোচবিহার শহর সংলগ্ন এলাকায় চকচকা শিল্প বিকাশ কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। শুরুতে একটা সময় প্রায় ৭০টি শিল্প ইউনিট চালু ছিল। বর্তমানে তা কমে ৪০ এর আশেপাশে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনের পর হাতেগোনা কয়েকটি শিল্প ইউনিট খোলা রয়েছে।