হেলাপাকড়ি: লকডাউনকে উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বাজার ও বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই ভিড় ঠেকাতে বৃহস্পতিবার হেলাপাকড়ি বাজারে অভিযান চালাল ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ও স্থানীয় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে গঠিত যৌথ মঞ্চ।
এদিন সকাল থেকেই হেলাপাকড়ি বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই অসংখ্য মানুষ ভিড় করতে থাকেন। বিভিন্ন ব্যাংকের সামনেও গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আওতায় পড়ে না এমন অনেক দোকানও খোলা হয়।
আরও খবর: উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে আর করোনার চিকিৎসা নয়: বিশেষজ্ঞ কমিটি
বাজার সহ বিভিন্ন ব্যাংকগুলিতে গিয়ে মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস চালাতে থাকেন হেলাপাকড়ি যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। কিন্তু অনেকেই তাদের কথায় কর্ণপাত করছিলেন না। তাই ভিড় ঠেকাতে ময়দানে নামে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। অতি আবশ্যিক ছাড়া বাকি সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যাংক সহ বাজারগুলিতে গিয়ে মানুষদের সতর্ক করা হয়। এমনকি কেউ যদি নির্দেশ অমান্য করে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। যদিও সাধারণ মানুষের বক্তব্য, ঘরে যেটুকু রসদ ছিল এই ক’দিনে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই পেটের টানে বাধ্য হয়েই বাজারে ছুটতে হচ্ছে।
এই বিষয়ে হেলাপাকড়ি যৌথ মঞ্চের সভাপতি নূর-এবনে-সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লকডাউন সফল করতে স্থানীয় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে একত্রিতভাবে যৌথ মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের তরফে সর্বদা সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। প্রথমদিকে মানুষ কিছুটা সতর্কও হয়েছিলেন। কিন্তু এখন আবার মানুষের মধ্যে অসতর্কতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু মানুষ বিনা প্রয়োজনেই বাজারে ভিড় করছেন। সেই অবস্থা দেখার পরই এদিন মানুষকে সচেতন করতে মঞ্চের তরফে বাজারে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অনেকেই তা কর্ণপাত করছিলেন না। পরে পুলিশ এসে যৌথভাবে অভিযান চালালে বাজার ফাঁকা করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউন উপেক্ষা করে গ্রামের বাজারগুলোতে মানুষ ভিড় করছেন। ভিড় ঠেকাতে লাগাতার অভিযান চলছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারপরেও কেউ প্রশাসনের নির্দেশিকা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।