দার্জিলিং: জিটিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাঙন মোর্চায়। জিটিএ নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন লোপসাং লামা। লোপসাং লামা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কার্যকারী সভাপতি ছিলেন। এই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন লোপসাং। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আলোড়ণ সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ের রাজনীতিতে। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে লোপসাং জানিয়েছেন, জিটিএ-তে থেকেই জিটিএর বিরোধীতা করবেন তিনি।
পাহাড়ের উন্নয়নে ব্যর্থ জিটিএ। পাহাড় উন্নয়নের একমাত্র পথ পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। এই যুক্তিকে সামনে রেখেই জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে মোর্চা। নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সম্প্রতি আমরণ অনশনেও বসেছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। জিটিএ নির্বাচনে মোর্চার সরে দাঁড়ানো মেনে নিতে পারেননি দলেরই একাংশ। দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জিটিএ নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন লোপসাং লামা। বিমল গুরুং রোশন গিরির পর সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন লোপসাং। তিনি জিটিএর জলঢাকা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মনোনয়ন জমা দিয়ে লোপসাং লামা বলেন, “জিটিএর বিরোধীতা করে নির্বাচনের মঞ্চ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে মোর্চা। তাতে কোনও লাভ হবে না। জিটিএর ভেতরে থেকেই বিরোধীতা করতে হবে। পাহাড়বাসীর স্বার্থের কথা ভেবে মোর্চা থেকে পদত্যাগ করে নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে শামিল হয়েছি।” এই প্রসঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “লোপসাং লামা দল থেকে পদত্যাগ করেছেনে, সেটা তাঁর ব্যাক্তিগত মতামত। বিমল গুরুং এই মুহুর্তে সুস্থ৷ আমরা জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেব না।”
মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং-এর অনমনীয় মনোভাবের কারণেই লোপসাং লামা দল ছেড়েছে অভিমত দলেরই একাংশের। সবমিলিয়ে জিটিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি, প্রতিবাদে অবরোধ দলীয় কর্মীদের