অনলাইন ডেস্ক: দেশে ফের ভূমিকম্প। কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও কেঁপে উঠল হরিয়ানা।
শুক্রবার দুপুর ৩টে ৩২ নাগাদ হরিয়ানার রোহতক লাগোয়া এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। রিখটর স্কেলে তীব্রতা ছিল ২.৮। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রোহতকে ফের ভূমিকম্প হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
An earthquake of magnitude 2.8 struck near Haryana's Rohtak at 3:32 pm: National Center for Seismology
— ANI (@ANI) June 26, 2020
বুধবারও রোহতকে কম্পন অনুভূত হয়। রোহতক থেকে ১৫ কিমি পূর্ব-পশ্চিমে ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থল ছিল। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ কিমি গভীরে। রিখটর স্কেলে তীব্রতা ছিল ২.৮। তীব্রতা কম হওয়ায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বারবার কম্পনের জেরে হরিয়ানা, দিল্লিতে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বুধবার মুম্বইয়েও ভূমিকম্প হয়। রিখটর স্কেলে তীব্রতা ছিল ছিল ২.৫।
এর আগে গত শুক্রবারও কেঁপে ওঠে হরিয়ানা। ভোর ৫টা ৩৭ মিনিট নাগাদ রোহতক থেকে ১৫ কিলোমিটার পূর্বে-দক্ষিণপূর্বে কম্পন অনুভূত হয়। ভোরে ভূমিকম্প হওয়ায় অনেকেই ঘুমিয়ে থাকায় বাসিন্দারা কম্পনের বিষয়টি সেভাবে টের পাননি। রিখটর স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ২.৩।
তার আগের দিন বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে ১৮ মিনিটেও রোহতকে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটর স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ২.১। ভূমিকম্পের উৎসস্থল মাটি থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল। রোহতক থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে কম্পন অনুভূত হয়।
গতকাল দুপুর ৩টে ৪৬ নাগাদ ত্রিপুরার ধর্মানগর শহর থেকে ৬৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ছিল কম্পন অনুভূত হয়। রিখটর স্কেলে তীব্রতা ছিল ২.৮। বুধবার সকালে মিজোরামের চম্মাইয়ের কাছে ভূমিকম্প হয়। রিখটর স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪.১। মঙ্গলবারও মায়ানমার সংলগ্ন দক্ষিণ মিজোরামের লুংলেইয়ে ভূমিকম্প হয়।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভূমিকম্প হচ্ছে। দিল্লি, গুজরাত, কাশ্মীর, হরিয়ানা, আন্দামান, মিজোরাম, উত্তরাখন্ড, হিমাচলপ্রদেশ সহ দেশের নানা প্রান্তে ভূমিকম্প হয়েছে। কম্পনের মাত্রা কম থাকলেও একের পর এক কম্পন ভূবিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
তাঁদের মতে, একের পর এক স্বল্প মাত্রার কম্পন বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত নিয়ে আসছে। আইআইটি ধানবাদের সিসমোলজি বিভাগের জিওফিজিক্সের অধ্যাপক পিকে খান জানান, একের পর এক ছোট মাত্রার কম্পন থেকেই বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সতর্ক হওয়া উচিত।