হরিশ্চন্দ্রপুর: বাংলার ছাত্রীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’তে কাটমানি নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির ব্লকেরই কন্যাশ্রী প্রকল্পে কর্মরত এক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে এলাকার বেশ কয়েকটি মাদ্রাসার সঙ্গে যোগসাজশ করে কন্যাশ্রী প্রকল্প পাশ করছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সহ জেলাশাসক এবং শিক্ষা দপ্তরের আধিকারীকদের কাছেও একাধিক অভিযোগপত্র জমা করা হয়েছে বলে খবর। এমনটাই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকায়।
এলাকার অভিভাবকদের অভিযোগ, যারা ওই সমস্ত হাইমাদ্রাসার ছাত্রী নয়, তাদের নাম কন্যাশ্রীর উপভোক্তাদের তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে। প্রকৃত উপভোক্তাদের টাকা পেতে গেলে ব্যাপকহারে কাটমানি দিতে হচ্ছে। তা না করা হলে বিভিন্ন অজুহাতে তাদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আব্দুল মোবিন দুর্নীতি করেই ফুলেফেঁপে উঠেছেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।
যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আব্দুল মোবিন। চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। তিনি জানান, যে সমস্ত আবেদন বাতিল করা হয়েছে তা কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত নয়। তাছাড়া যারা এখনও কন্যাশ্রীর সুবিধা পায়নি বলে অভিযোগ করেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই পরে এই প্রকল্পের টাকা পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের তালবাংরুয়া হাইমাদ্রাসার বিরুদ্ধে কন্যাশ্রী সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছিল। মূল অভিযুক্ত ছিলেন ওই হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্টে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্তও হয়েছিল। ওই মাদ্রাসার অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মিলিতভাবে দুর্নীতি চালিয়েছেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আব্দুল মোবিন।
বিডিও বিজয় গিরি জানিয়েছেন, এলাকার কয়েকটি মাদ্রাসার কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে কিছু অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকিগুলি নিয়ে তদন্ত চলছে। যে সমস্ত স্কুলের মাধ্যমে অনিয়মগুলো হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আব্দুল মোবিন কন্যাশ্রী প্রকল্পের কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগেরও তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন : পড়ুয়াদের সুরক্ষায় কলিগ্রামে বসল ট্রাফিক ব্যারিকেড