মালদাঃ স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজে স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিল রেল। কাজ সম্পূর্ণ হলে মালদা টাউন স্টেশনেই (Malda Town Station) যেন এক টুকরো গৌড় সাম্রাজ্য দেখতে পাবেন যাত্রীরা। অমৃত ভারত প্রকল্পে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছে মালদা টাউন স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ। ধাঁচা তৈরি হয়ে গেলেও কাজ এখনও অনেকটাই বাকি। তবে এই মুহূর্তে দ্রুত গতিতেই চলছে কাজ। ফুটওভার ব্রিজ ছাড়া বাকি কাজ এপ্রিলের মধ্যেই সমাপ্ত হয়ে যাবে বলে আশাবাদী রেল। এরপরই কার্যত ভোল বদলে যাবে স্টেশনের। স্টেশনের সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস কে।
গৌড় সাম্রাজ্যের ইতিহাসেই মালদার পরিচিতি। গৌড় কে কেন্দ্র করেই মালদা জেলার প্রতি পর্যটক এবং প্রত্নতত্ত্ববিদদের আকর্ষণ। সেই কথা মাথায় রেখেই মালদা টাউন স্টেশনের জায়গায় জায়গায় থাকছে সেই ইতিহাসের ছোঁয়া। বড়সোনা মসজিদ, ফিরোজ মিনার, দাখিল দরওয়াজার মতো গৌড়ের দর্শনীয় স্থানগুলির চিত্র। যা মালদা টাউন স্টেশনের ভেতরের দেওয়াল থেকে শুরু করে ওয়েটিং রুমে ফুটিয়ে তোলা তোলার কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে মনে হবে মালদা টাউন স্টেশনেই যেন একটুকরো গৌড়। পর্যটকরা মালদা টাউন স্টেশন প্রবেশ করেই সেই অনুভূতি পাবেন যাত্রীসাধারণ। এছাড়াও যে বিষয়গুলোর আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আধুনিক ওয়েটিং লাউঞ্জ। যেখানে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া। স্টেশনের ভেতরে ১২ মিটার চওড়া ফুট ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। যানজট এড়ানোর জন্য প্রবেশ এবং বাহির পথ সম্পূর্ণ আলাদা করা হচ্ছে। যাত্রী সুবিধার দিকে দেয়া হচ্ছে সবথেকে বেশি জোর। সৌন্দর্যানের পাশাপাশি গুরুত্ব থাকছে সবুজায়নের উপরেও। এছাড়া স্টেশন কে আলোকিত করতে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক মানের আলো।
এপ্রিলের মধ্যেই অমৃতের ছোঁয়ায় নবরূপে মালদা টাউন স্টেশন কে পেতে চলেছে জেলাবাসি। রেলের মালদা বিভাগের ডিআরএম বিকাশ চৌবে জানান,” সৌন্দর্যায়ন এবং সবুজায়ন দুইদিকেই খেয়াল রাখা হচ্ছে। ফুটওভার ব্রিজ ছাড়া বাকি কাজ এপ্রিলের মধ্যে হয়ে যাবে। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।”
উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু জানান, “মালদা টাউন স্টেশন কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইতিহাস তুলে ধরা হলে পর্যটকদের কাছে তা আকর্ষণীয় হবে। রেল সেটা মাথায় রেখে এক কথায় মালদার পর্যটনের বিজ্ঞাপন করে দিচ্ছে।”