নয়াদিল্লি, ১৬ জুনঃ দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সরকারি বাসভবনে ঠায় বসে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও উন্নয়নমন্ত্রী গোপাল রাই। সোমবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা, ছয়দিন ধরে এই দৃশ্যের সাক্ষী দিল্লিবাসী। আর এর জেরে নজিরবিহীন প্রশাসনিক সংকটের মুখে দিল্লি। রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে শনিবার দিল্লি পৌঁছোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। শনিবার কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে বাইজালের বাসভবন রাজনিবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারাস্বামী ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কিন্তু বাইজাল নিজের বাড়িতে তাঁদের কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেননি বলে অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে বাইজালের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, মনে হয় না লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিজে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই তিনি আমার সঙ্গে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দেখা করার অনুমতি দেননি। বাইজালের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। বিজেপি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বাসভবনকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করার অনুমতির দাবিতে অনিল বাইজালের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রীরা।