পোর্টাল ডেস্ক: আগামীকাল মঙ্গলবার মুম্বই রওনা হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই দিল্লি থেকে ফিরেছেন। তারপরই ফের মুম্বই সফরের আলাদা রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কাল মুম্বই পৌঁছে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ও শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও থাকার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে তৃণমূল।
সম্প্রতি দিল্লি গিয়েও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করেননি মমতা। বরং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তীক্ষ্ণ ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লি এলেই দেখা করার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। প্রথমে সহযোগিতার বার্তা দিলেও তৃণমূল যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস ভাঙানোর খেলায় নেমেছে তাতে যথেষ্ট ক্ষুন্ন কংগ্রেসও। বিভিন্ন সময় অধীর চৌধুরির মতো নেতারা বক্তব্য দিয়ে তা বুঝিয়েও দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ভাবনা রয়েছে তৃণমূলেরও। সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসকে এড়িয়ে চললেও আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে যথেষ্টই সখ্য রেখে চলছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে অন্য ছোট দলগুলোকে নিয়ে জোট গড়ার ভাবনাও রয়েছে তৃণমূলের।
এই পরিস্থিতিতে মমতা-উদ্ধব বা মমতা-পাওয়ার বৈঠক থেকে নতুন কোনও সম্ভাবনার জন্ম হতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এবারের মুম্বই সফরকে বাংলায় বিনিয়োগ টানার কাজেও লাগাতে চান মমতা। বুধবার সন্ধ্যায় ইয়ং প্রেসিডেন্টস অর্গানাইজেশনের সভায় যোগ দেবেন তিনি। সেখানে ২০০ বিনিয়োগকারীর সামনে বক্তব্যে বাংলাকে শিল্পের গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আসন্ন গ্লোবাল বিজনেস সামিটে শিল্পপতিদের আমন্ত্রণও জানানো হবে।