হরিশ্চন্দ্রপুর: থানার সামনে টেবিল পেতে দীর্ঘদিন ধরেই ডাব ও ছাতুর ঘোল বিক্রি করেন শিবু চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকে। বুধবার এই দাম্পত্য কলহের জেরে চরমপথ বেছে নিলেন বছর ৩০-এর শিবু চক্রবর্তী। দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার প্রধান ফটকের সামনে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন এই ডাব বিক্রেতা। মুহূর্তের মধ্যে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে সারা শরীর। সারা গায়ে আগুন নিয়ে থানার সামনে রাস্তাতে ছুটে বেড়াতে থাকেন শিবু। ক্ষণিকের ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন সকলে। তাঁর চিৎকারে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস নিজের চেম্বার থেকে ছুটে আসেন রাস্তায়। থানা থেকে জোগাড় করা হয় কম্বল। সেই কম্বল নিয়েই শিবুর প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন খোদ আইসি। কোনও রকমে কম্বল জড়িয়ে আগুন নিভিয়ে শিবুকে হাসপাতালে পাঠান তিনি। যদিও ততক্ষণে প্রায় ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায় শিবুর শরীর। আইসি নিজে গিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান অগ্নিদগ্ধ শিবুকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ।
আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, অগ্নিদগ্ধ ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও এখনও এ বিষয় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। শোনা গিয়েছে, দাম্পত্য কলহের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, নিজের জীবন বিপন্ন করে অগ্নিদগ্ধ যুবককে বাঁচানোর ক্ষেত্রে আইসির ভূমিকার সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।