গঙ্গারামপুর: তন্তুজের পর এবার গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের শাড়ি কিনতে উদ্যেগী হল মঞ্জুষা। পুজোর মুখে এই সিদ্ধান্তে খুশি গঙ্গারামপুরের তাঁত শিল্পীরা। বৃহস্পতিবার মঞ্জুষার প্রতিনিধিরা গঙ্গারামপুর ঘুরে শাড়ির রং, ডিজাইন, বহর ও সুতোর গুনগতমান খতিয়ে দেখেন।
জেলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মধ্যে অন্যতম তাঁত শিল্প। সাতের দশকে ত্তপার বাংলা থেকে আসা কিছু মানুষের হাত ধরে গঙ্গারামপুরে তাঁতশিল্প গড়ে ওঠে। শাড়ির গুনমানের জেরে আটের দশক থেকে গঙ্গারামপুরের তাঁতের শাড়ির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। শাড়ির চাহিদা বাড়তে থাকায় গঙ্গারামপুরের আশপাশের এলাকা মহারাজপুর, ঠ্যাঙাপাড়া, বোয়ালদহ, নীলডাঙায় বহু তাঁত শিল্প গড়ে ওঠে। যুক্ত হন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। শাড়ি বিক্রির জন্য গড়ে ওঠে অসংখ্য তন্তুবায় সমিতি। কিন্তু সে সব আজ সোনালী অতীত। নয়ের দশকের শেষদিক থেকে গঙ্গারামপুরের তাঁতের শাড়ির চাহিদা কমতে থাকে। তবুও কোনও রকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল এই শিল্প। কিন্তু গতবছর করোনা আবহে লকডাউনের সময় থেকে গঙ্গারামপুরের তাঁতের শাড়ির ব্যবসা একরকম বন্ধ হয়ে যায়। শাড়ি বিক্রি না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েন তাঁতিরা। এমন পরিস্থিতিতে যখন তাঁত ছেড়ে শিল্পীরা অন্য পেশায় যাবার কথা ভাবছিলেন তখন মঞ্জুষা এগিয়ে আসায় স্বস্তির আভাস তাঁদের চোখেমুখে
জেলা হস্তচালিত তাঁত শিল্প আধিকারিক প্রদীপ সেনগুপ্ত জানান, তাঁত শিল্পীরা যাতে শাড়ি বিক্রি করতে পারেন সেজন্য তন্তুজের মত মঞ্জুষা সহ আরও বেশ কিছু সরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মঞ্জুষার বহরমপুর কেন্দ্রের ম্যানেজার বিপ্লব সাহা জানান, গঙ্গারামপুরের তাঁত শিল্পীদের পাশে তাঁরা থাকবেন।