ঘোকসাডাঙ্গা ও পারডুবি: আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গ্রিন হাউজ পদ্ধতিতে অসময়ে বিভিন্ন শাক-সবজি, ফুল চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের বেশকিছু কৃষক। মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের লতাপাতা, পারডুবি, বড়শৌলমারি, ফুলবাড়ি সহ ব্লকের বেশকিছু এলাকায় এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন কৃষকদের একাংশ।
গ্রিন হাউজ পদ্ধতিতে চাষ করে উপকৃত মাটিয়ারকুঠির কৃষক সাগর পাণ্ডে জানান, এই পদ্ধতিতে অর্কিড সহ ভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। মাথাভাঙ্গা-২ ব্লক কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানে কোনও কলকারখানা না থাকায় কৃষির ওপরই নির্ভরশীল ব্লকের অধিকাংশ মানুষ। ধান, পাট, আলু এখানের মূল চাষ হলেও এখন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নানা শাক-সবজি চাষ করা হচ্ছে। কোচবিহার উদ্যানপালন বিভাগের সহায়তায় গ্রিন হাউজ ও শেড নেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সবজি চাষে প্রদর্শনী ক্ষেত্র করা হয়েছে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকেই বিকল্প চাষ হিসেবে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষে সাফল্য পেয়েছেন। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অসময়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ক্যাপসিকাম, টমেটো, ধনেপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হচ্ছে। এবিষয়ে ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা ড. মলয়কুমার মণ্ডল জানান, এভাবে চাষ করা শাক-সবজি, ফুল সতেজ থাকছে। কারণ বাঁধাকপি, স্কোয়াশ সহ বিভিন্ন শাকসবজি বিভিন্ন এলাকা থেকে আনতে গেলে সতেজতা কমে যেত। এখন সেসব এখানেই চাষ হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে কম মূলধন খরচ করে উপকৃত হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ মহলের ধারনা, পলি-হাউস পদ্ধতিতেও চারদিকে প্লাস্টিকের ছাউনি থাকায় সূর্যের তাপ সরাসরি খেতে ঢুকতে পারে না। ফলে, শীতের ফুল গরমেও চাষ করতে অসুবিধা হয় না। এই পদ্ধতিতে জলের অপচয় ঠেকানো যায়। সব মিলিয়ে এই পদ্ধতিতে ফসলের উৎপাদন বেশি হয়।
আরও পড়ুন : হজ যাত্রীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন জেলা প্রশাসনের