করণদিঘি: উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি তোলেন বিজেপির সাংসদরা। তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। ঠিক সেই মুহুর্তে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম স্রষ্টা অনন্ত রায়বর্মার উওরবঙ্গ সফরকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। করণদিঘি ব্লকের চারদামালিতে অলোচনা সভায় যোগ দিলেন রাজবংশী সমাজের ধর্মগুরু সাহিত্যিক তথা গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম স্রষ্টা অনন্ত রায়বর্মা ওরফে মহারাজ। এদিন তিনি চাকুলিয়া থেকে কেন্দ্র সরকারের দেওয়া দেহরক্ষী নিয়ে চারদামালির আলোচনা সভায় হাজির হন। সভায় পৌঁছেই তিনি শিবচণ্ডী পুজো করেন তারপরই বীর যোদ্ধা চিলা রায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। তিনি বলেন, কোচবিহার রাজ্য গঠনের কথা। তিনি ভারতীয় সংবিধানের কথাও ভক্তদের শোনান। কোচবিহারকে ভারতভুক্তির চুক্তির কথাও জানান। অনন্ত মহারাজ পৃথক কোচবিহার রাজ্য গঠনের লক্ষ্যে ধর্মীয় সভার মধ্য দিয়ে সংগঠন বিস্তার ঘটাতে চাইছেন বলে রাজবংশীয় সমাজের একাংশের দাবি। মোদির সভাতেও দেখা গিয়েছে লোকসভা ভোটের আগে। অনন্ত রায় ধর্মনীতি, সমাজ, পারস্পরিক সমন্বয়, সংহতি ও দেশের সংবিধান নিয়ে বক্তব্য রাখেন। কোচবিহারের ইতিহাস জানতে কর্মীদের ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে বলেন তিনি।
কোচবিহার রাজ্য প্রসঙ্গে অনন্ত বলেন, ‘আমাদের রাজ্যেরও অধঃপতন হয়েছে, আমাদের অধঃপতন হয়েছে। ইতিমধ্যেই, আমাদের হাতে ভিক্ষার থলি ঝুলছে। সেজন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। অতীতের কামতাপুর রাজ্য, আজকের কোচবিহার। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন মহারাজ। এদিনের সভায় হাজার দুয়েক লোকের সমাগম ঘটেছে। পুরো এলাকা নারায়নী সেনারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
করণদিঘি বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক গৌতম পাল বলেন, ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ অনন্ত রায়বর্মা, এক শ্রেণির মানুষকে নিয়ে চিন্তা করছেন অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কল শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবেন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজবংশী ও কামতাপুরি বোর্ড গঠন করেছেন। আনন্তবাবুদের বাংলা ভাগের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন একজন রাজবংশী সমাজের মহিলা এটা ওনার মাথায় থাকা দরকার। বাংলার মানুষ কারও কোনও কোনও প্ররোচনায় পা দেবে না।
গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের করণদিঘি ব্লকের সভাপতি শংকর সিংহ জানান, মহারাজ কোচবিহার রাজ্য গঠনের বার্তা দিতেই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি ধর্মনীতি, সমাজ, পারস্পরিক সমন্বয়, সংহতি ও দেশের সংবিধান নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
লাইক করুন আমাদের ফেইসবুক পেজ : https://www.facebook.com/uttarbangasambadofficial