মেখলিগঞ্জ: উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে পাল্লা দিয়ে চলছে গরম। বিশেষ করে সকাল ৮ টার পর থেকে গরমের প্রভাব বোঝা যায়। এই অবস্থায় মেখলিগঞ্জ (Mekhliganj) ব্লকের হাতে গোনা দুই-একটি বাদ দিয়ে বেশিরভাগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেই নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। নেই পাখা। ফলে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কচিকাঁচাদের।
মেখলিগঞ্জ ব্লকের ১৮৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। যদিও ১৪০টি নিজস্ব অঙ্গনওয়াড়ি ভবন থেকে পরিচালিত হয়। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি প্রসূতি মা থেকে শুরু করে ৬ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের যেমন পুষ্টিকর খাবার দেয়, তেমনি ৩ বছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাও পায় কচিকাঁচারা। তাদের বিভিন্ন খেলনার মাধ্যমে সাধারণ জ্ঞান দেওয়া হয়। অভিযোগ, গরমে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছে শিশুরা। অভিভাবকরাও এত গরমে সন্তানদের পাঠাচ্ছেন না। অভিভাবকদের অভিযোগ, শুধু পাখার সমস্যাই নয় বেশিরভাগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। জলের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা পাশের বাড়ির নলকূপ বা কুয়োর ওপর নির্ভর করেন। আবার অনেক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিজের টাকা খরচ করে নলকূপ বসিয়েছেন। অভিভাবকদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে পাখার ব্যবস্থা করা হোক। একইসঙ্গে প্রত্যেক কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানীয় জল পরিষেবা দেওয়া হোক।
মৃগীপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী বিমলা রায় জানান, তাঁর কেন্দ্রে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা নেয় ২১ জন। কিন্তু গরমের জন্য হাতেগোনা কয়েকজন আসে। বাকিরা শুধু খাবার নিয়ে যায়। একই অবস্থা কাংড়াতলি কেন্দ্রেও। সেখানে প্রাক প্রাথমিকে রয়েছে ৪১ জন। খুনিয়াবাড়ি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রাক প্রাথমিকে রয়েছে ৭১ জন। এখানেও গরমে কমেছে উপস্থিতির হার। এই বিষয়ে মেখলিগঞ্জের জেলা পরিষদ সদস্য তথা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ফুলতি রায় জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে মেখলিগঞ্জের সিডিপিও জগদীশ বর্মনের সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। মেখলিগঞ্জের বিডিও অরুণকুমার সামন্ত জানান, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Rape Case | বৌমাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ‘গুণধর’ শ্বশুর