দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ : রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজাহাটে ব্যাংকের লাইনে থাকা গ্রাহকদের হাতে নিয়মিত জল ও বিস্কুট তুলে দিচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। নানা ভাতা, সরকারী প্রকল্প সহ সঞ্চয়ের টাকা তোলার জন্য সকাল ১০টা থেকে দূরদূরান্তের গ্রাহকরা এসে লাইন দিচ্ছেন। লক ডাউনের জন্য আশেপাশের সব দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাঁরা জল, বিস্কুট কিছুই পাচ্ছেন না। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা বুধবার থেকে ব্যাংকের গ্রাহকদের হাতে জল ও বিস্কুট তুলে দিচ্ছেন।
রায়গঞ্জের রামপুর অঞ্চলের মহারাজাহাট বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের শাখায় এদিন সকাল থেকে ভিড় ছিল যথেষ্ট। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা হরেন বর্মন, বচন বর্মন, নগেন রায়, বেলা শীলরা জানান, প্রায় তিন ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। মহারাজাহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম চ্যাটার্জী বলেন, কয়েকদিন হল ব্যাংকে খুব ভিড় হচ্ছে। আশেপাশের দোকান বন্ধ থাকায় গ্রাহকেরা জল, বিস্কুট পাচ্ছেন না। তাই তাঁদের কথা ভেবে আমরা তাঁদের হাতে জল ও বিস্কুট তুলে দিচ্ছি। আগামীদিনেও এই কর্মসূচি জারি থাকবে।
মহারাজাহাটের পাশাপাশি বিন্দোল, ভাটোল, জগদীশপুর, রূপাহার, রায়পুর, রায়গঞ্জ, কর্ণজোড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের শাখাগুলিতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা ঢোকায় গ্রাহকদের ভিড় চোখে পড়ছে। সিএসপিগুলোতেও যথেষ্ট ভিড় দেখা যাচ্ছে। এদিন রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে অবস্থিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে গ্রাহকদের ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মলয় সরকার ও পুলিশ কর্মীদের। অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার ইউনিয়নের জেলা সভাপতি নীতিশ বকশি বলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা ঢোকায় ব্যাংকগুলিতে ভিড় হচ্ছে। লকডাউনের জন্য গ্রাহকদের তো সমস্যা হচ্ছেই। তবে কর্মী সঙ্কট থাকলেও শাখাগুলিতে ভালো কাজ হচ্ছে।