লখনউ সুপার জায়ান্টস – ১৫৮/৬ (২০ ওভার)
গুজরাত টাইটান্স – ১৬১/৫ (১৯.৪ ওভার)
মুম্বই : স্বপ্নের শুরু।
গুজরাট টাইটান্সের জার্সিতে প্রথমবার খেলতে নেমেই কাঁপিয়ে দিলেন মহম্মদ সামি। প্রথম বলটাই গুড লেংথে রেখে শেষমুহূর্তে সুইং করালেন। ফ্রন্টফুটে খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে যা ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ফেলেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (০)। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েড।
আম্পায়ার আউট না দিলেও ডিআরএস নিয়ে রাহুলকে ডাগআউট ফিরিয়ে দেয় গুজরাট। এরপর কুইন্টন ডি কক (৭) ও মণীশ পাণ্ডের (৬) উইকেট তুলে নিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে পঞ্চম ওভারেই ২৯/৪ করে দেন সামি (২৫/৩)। সেখান থেকেই লখনউকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন দীপক হুডা (৪১ বলে ৫৫) ও আয়ুষ বাদোনি (৪১ বলে ৫৪)। তাঁদের এই প্রয়াস অবশ্য কাজে আসেনি। ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট। ১৯.৪ ওভারে তারা পৌঁছে যায় ১৬১/৫ স্কোরে। তফাত গড়ে দেয় শুরু ধাক্কা সামলাতে লখনউ ব্যাটারদের প্রথম ১০ ওভারের সংযম।
আইপিএল অভিষেকেই নজর কাড়লেন দিল্লির ২২ বছরের পকেট সাইজ রকেট আষুষ। ট্র্যাডিশনাল কভার ড্রাইভের সঙ্গে র্যাম্প শট হোক বা স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকানো- কোনও কিছুতেই তিনি পিছিয়ে ছিলেন না। রশিদ খান, লকি ফার্গুসনদের মতো বড় নামকেও বাড়তি সমীহ না দেখিয়ে ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন আযুষ। অথচ ম্যাচের আগের রাতে উত্তেজনার চোটে তিনি দুই চোখের পাতা এক করতে পারেননি। তাঁর সঙ্গে হুডার ৮৭ রানের পার্টনারশিপটার জন্যই লখনউ শুরুর আতঙ্ক কাটিয়ে ৬ উইকেটে ১৫৮ রানে শেষ করে। শেষদিকে দলের স্কোর বাড়ানোর কাজটা সফলভাবে করে যান ক্রুণাল পান্ডিয়াও (১৩ বলে অপরাজিত ২১)।
অনেকদিন পর বল হাতে দেখা গেল হার্দিক পান্ডিয়াকেও। প্রথম তিন ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও শেষ ওভারে ১৯ রান খরচ করলেন গুজরাট অধিনায়ক। একই অবস্থা সামিরও। শেষ ওভারে ১৫ রান দিলেন তিনিও। ডেথ ওভারে তাদের ব্যর্থতার জন্যই চাপে পড়ে গিয়েছিল গুজরাট। যা আরও বাড়িয়ে রানতাড়ার শুরুতেই তারা ১৫/২ হয়ে যায়। শূন্য রানেই শুভমান গিল ও ৪ রানে বিজয় শংকরকে ফিরিয়ে দেন দুষ্মন্ত চামিরা (২২/২)। সেখান থেকেই তাদের লড়াইয়ে ফেরানোর কাজ শুরু করেন হার্দিক (৩৩) ও ওয়েড (৩০)।
দুই ওভারের মধ্যেই ক্রুণাল (১৭/১) ও হুডা (৩১/১) তাঁদের ফিরিয়ে দিলেও গুজরাট জয়ের রাস্তা হারিয়ে ফেলেনি। রাহুল তেওয়াটিয়া (২৪ বলে অপরাজিত ৪০) ফিনিশিং টাচ দিলেন। তাঁকে যোগ্য সংগত দিয়ে হার্দিককে নেতৃত্বের অভিষেকেই জয় এনে দিলেন অভিনব মনোহর (৭ বলে অপরাজিত ১৫) ও ডেভিড মিলার (২১ বলে ৩০)।