তুফানগঞ্জ: কলেজে বাহিরাগতদের নিয়ে এসে ছাত্রদের মারধরের ঘটনায় জড়িত দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন তুফানগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। শনিবার তুফানগঞ্জ (Tufanganj) শহরের নিউ টাউন এলাকা থেকে তুফানগঞ্জ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি মিছিল বের হয়ে তুফানগঞ্জ কলেজে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কিছুদিন পরপর যেহেতু বহিরাগতরা ঢুকে ছাত্র সংসদের চেয়ার ভাঙচুর করে, সেহেতু ছাত্র সংসদে আর কোনও চেয়ার থাকবে না। বেঞ্চে বসে কাজ পরিচালনা করবেন ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা। এরপর ছাত্র-ছাত্রীরা তুফানগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান করেন। গতকালের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের অভিভাবকদের ডেকে মিটিং করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য। যতদিন দোষীদের অভিভাবকদের সঙ্গে মিটিং হবে না, ততদিন ওই ছাত্রদের ক্লাসে যেন না আসে। এরপর ছাত্র সংসদের তরফে অধ্যক্ষকে একটি দাবিপত্র প্রদান করা হয়। এদিকে ঘটনার আগাম খবর পেয়ে তুফানগঞ্জ কলেজের সামনে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ মোতায়েন ছিল। এরপর কলেজের ভেতরে থাকা ভাঙা প্লাস্টিকের চেয়ারগুলোতে একদল ছাত্র পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তুফানগঞ্জ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সমীর দাস বলেন, ‘আমরা গতকালের ঘটনার পর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গতকালের ঘটনায় আমাদের ছয়জন ছাত্র আহত হয়েছেন। কলেজের কয়েকজন ছাত্র বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজের ভেতরে মারপিট করেছে। আমরা চাই যেসব ছাত্র এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে তাদের অভিভাবকদের ডেকে মিটিং করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। আর যতদিন না তাদের অভিভাবক দের নিয়ে মিটিং হচ্ছে না, ততদিন যেন ওই ছাত্ররা কলেজে না আসে। আমরা আমাদের দাবির কথা অধ্যক্ষকে জানিয়েছি।‘
তুফানগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিত করে তাদের অভিভাবকদের মিটিং-এ ডাকা হবে। তবে কেউ ক্লাসে আসতে না দেওয়ার বিষয়টি কলেজের পরিচালন কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। আমি ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির কথা পরিচালন সমিতিতে জানাবো।‘ এদিকে গতকালের ঘটনায় তুফানগঞ্জ থানায় আহত ছাত্রের একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে বলে তুফানগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে।