চালসা: প্রতিশ্রুতিই সার। অভিযোগ, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসেও পৃথক নস্যশেখ উন্নয়ন পর্ষদ ঘোষণা করেননি মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নস্যশেখ উন্নয়ন পরিষদের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে নস্যশেখ উন্নয়ন পর্ষদ ঘোষণা করা না হলে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন তাঁরা। প্রয়োজনে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পথে হাঁটতে পারে নস্যশেখ উন্নয়ন পরিষদ। শনিবার মৌলানি কর্মতীর্থ ভবনে নস্যশেখ উন্নয়ন পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় এহেন সিদ্ধান্তের কথা জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বজলার রহমান।
দীর্ঘদিন ধরেই নস্যশেখ উন্নয়ন পর্ষদ গঠন সহ নস্যশেখ জনজাতিকে সরকারি ভূমিপুত্র স্বীকৃতির দাবিতে চলছে আন্দোলন ও সভা। জেলা শাসক থেকে শুরু করে নেতা মন্ত্রীদেরও তাঁদের সেই দাবি তুলে ধরা হয়েছে একাধিক সময়। নস্যশেখ উন্নয়ন পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর কোচবিহার সফরকালে মুখ্যমন্ত্রী নস্যশেখ উন্নয়ন পর্ষদ ঘোষণার আশ্বাস দেন। যদিও সম্প্রতি ৩ ফেব্রুয়ারি ফের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেও মুখ্যমন্ত্রী নস্যশেখ উন্নয়ন পর্ষদ ঘোষণা করেননি। সেই কারণে বাধ্য হয়েই এদিনের সভার পর ওই ওই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ সারোয়ারদি , কেন্দ্রীয় সম্পাদক আমিনাল হক, জেলা সম্পাদক ফরিদ আকতার গাজী, সভাপতি বাচ্চু প্রধান সহ জেলা,ব্লক অঞ্চল নেতৃত্ব।
নস্যশেখ উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বজলার রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী নস্যশেখ উন্নয়ন পর্ষদ ঘোষণা করবেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে যদি রাজ্য সরকার নস্যশেখ উন্নয়ন পর্ষদ ঘোষণা না করে তাহলে আমরা পৃথকভাবে রাজনৈতিক ময়দানে নামব। প্ৰয়োজনে মিম, আব্বাস সিদ্দিকী ও বাম কংগ্রেসের সাথেও জোটে যেতে পারি। সমগ্র উত্তরবঙ্গে ২৭-২৮ শতাংশ নস্যশেখ সম্প্রদায়ের জনগণ আছে।’